টপ নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হলো সুন্দরবন। কিন্তু এর মধ্যে পশুরসহ আটটি নদী দিয়ে চলাচল করছে দেশি-বিদেশি প্রায় হাজারো জাহাজ। এরপর প্রতিদিন চলছে গড়ে ৩৪৫টি দেশী-বিদেশী জাহাজ। এতে করে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সুন্দরবনের নদী, মাটি, গাছপালা ও বন্যপ্রাণীর ওপর। এর প্রভাব কতটা ভয়াবহ তা নিরূপণে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কাজ হলেও এখনও হয়নি পূর্ণাঙ্গ কোনো গবেষণা।
বন বিভাগ হতে জানা যায়,বঙ্গোপসাগর থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত সুন্দরবনের মধ্যে প্রায় ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ পশুর নদ রয়েছে আর এর মধ্য দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছিল ১৯৫৪ সালে। বিগত ৭০ বছর ধরে এই রুটে দেশি-বিদেশি জাহাজ চলছে। দেশের বিভিন্ন এলাকার জাহাজ ১৯৭২ সাল থেকে মোংলা হয়ে সুন্দরবনের মধ্যে থাকা কালিঞ্চি, রায়মঙ্গল, কাচিকাটা, আড়পাঙ্গাসিয়া, বজবজা, আড়ুয়া শিবসা, শিবসা ও পশুর নদ দিয়ে ভারতে যাওয়া-আসা করে। অন্যান্য সাত নদী দিয়ে জাহাজ চলাচল করছে ৫২ বছর ধরে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন ,পশুর নদ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে চলাচল করে দেশি-বিদেশি ২২৫টি জাহাজ। অন্যসব সাতটি নদীতে প্রতিদিন এর সংখ্যা গড়ে ১২০এবং দুটি রুটের জাহাজে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ক্লিংকার, ফ্লাইঅ্যাশসহ কয়লা, ফার্নেস অয়েল ও পাথর, এলপি গ্যাস, খাদ্যসামগ্রী বিভিন্ন ধরনের পণ্য থাকে।
সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, এই জাহাজগুলো থেকে নিঃসৃত তেল ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ বনের পানি ও মাটিতে মিশে দূষণ ঘটায়। জাহাজের ঢেউয়ের কারণে নদীর তীর ভেঙে পলি পড়ে নদীর নাব্যতা কমে এসেছে । জাহাজের শব্দ ও রাতে আলো বন্যপ্রাণীদের আতঙ্কিত করে তোলে। বনের মধ্যেকার নদীতীরে এখন আর আগের মতো বন্যপ্রাণী আর পাখি দেখা যায় না।
সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম