নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশসেরা বিদ্যাপীঠ রাজশাহী কলেজের আয়োজনে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ৫২তম বার্ষিকীতে জাতির সূর্যসন্তানদের স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে দশটায় কলেজ প্রাঙ্গনে শহীদদের স্মৃতি স্মরণ করে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন রাজশাহী কলেজের মাননীয় অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুল খালেক এবং অন্যান্য সম্মানিত শিক্ষক মহোদয়গণ। এরপর শেখ রাসেল দেয়ালিকায় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষকের তত্বাবধানে তৈরিকৃত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্যে দেয়ালিকা উদ্বোধন করেন তিনি।
এরপর কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জীবন এবং কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা। উক্ত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মহোদয়। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এবং সাংস্কৃতিক কমিটির সদস্য সহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা।
উক্ত আলোচনা সভায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান সহ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির বিজয় যখন আসন্ন তখনই ঘটে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম সেই হত্যাকান্ড। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় অনিবার্য জেনে এই দেশকে মেধাশূন্য ও পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী । আর এদের সহযোগিতা করেছিল এদেশীয় দোসররা। ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক,চিকিৎসক ,শিল্পী ,লেখক, সাংবাদিক সহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে। নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী ওই হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে- তা নিশ্চিত করা।