বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স বিভাগের আধ্যাপক মোইজুর রহমানের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ক্লাস পরীক্ষা বর্জন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের কথা থাকলেও, বৃষ্টির কারণে তা বিলম্বিত হয়। যদিও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে প্রায় ঘন্টাব্যাপী শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচীতে ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সেই সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবি গুলো হলো: অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার ছাত্রত্ব বাতিল, ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া, আন্তঃবিভাগ প্রতিযোগিতার যেকোনো খেলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এছাড়া, সুষ্ঠ বিচার না হওয়া পর্যন্ত সকল ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জনের হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাবিতে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স বিভাগ বনাম ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)-এর মধ্যাকার ম্যাচটি হবিবুর রহমান হল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। টাইব্রেকারের সময় ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষের রূপ নেয়। এসময়, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সের অধ্যাপক ডাঃ মোইজুর রহমান সমাধানের জন্য এগিয়ে গেলে আইবিএ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সিনহা সৌমিক তার কলার ধরে টানাহেঁচড়া করে এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মারধর করে বলে অভিযোগ করেন রাবি ভেটেরিনারি সাইন্সের শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে, প্রক্টর অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করেন লাঞ্ছিত হওয়া সেই শিক্ষক।
এদিকে, গতকালের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জহুরুল আনিসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্যরা হলেন: ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল মামুন এবং আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা