টপ নিউজ ডেস্ক: মাদারীপুরের শিবচরে বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদে সার্ভার জটিলতা থাকায় জন্মসনদ না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা শামিম আহমেদ পলাশকে (২৯) কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল (১২ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের সেনেরবাড এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শামিম আহমেদ পলাশ বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের সরকারের চর এলাকার মজিবর রহমান বেপারীর ছেলে ও বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মরত আছেন ।
এই ঘঠনায় ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের সেনের বাড এলাকার রুবেল, আল আমিন, ইমন, হযরত ও তুষারসহ কয়েকজন যুবক বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদে একটি জন্মসনদ আনতে যান। এসময় পরিষদের সার্ভার জটিলতা থাকার কারণে পরিষদের উদ্যোক্তা শামিম আহমেদ পলাশ তাদের সার্ভার সমস্যার কথা জানান ও কয়েকদিন পরে তাদের সনদ নিতে আসতে বলেন। এসময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশকে দেখে নেওয়ার কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়।গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পলাশ তার এক বন্ধুর বাড়িতে মিলাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে শিবচর পৌরবাজারে পরিষদের একটি কম্পিউটার ঠিক করার জন্য আসছিল। এসময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা রুবেল, আল আমীন ও হযরতসহ ১০/১২ জন যুবক পলাশের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাদের ছুরিকাঘাতে পলাশ গুরুতর আহত হয়। পলাশের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আহত পলাশ বলেন, কয়েকদিন আগে ওরা পরিষদে জন্ম সনদ আনতে গেলে তখন সার্ভার সমস্যা ছিল। আমি সেটা তাদের বুঝিয়ে বলি ও পরে একদিন আসতে বলি। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়। রোববার রাতে রুবেল, আল আমীন, ইমনসহ কয়েকজন আমার ওপরে হামলা চালায়। আমাকে ছুরি দিয়ে কোপ মেরেছে। আমি ওদের বিচার চাই।
সম্পাদনায়: মো: আরিফুল ইসলাম