সর্বশেষ

43.9 C
Rajshahi
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

স্বস্তিদায়ক নির্বাচন আয়োজন করতে চাই:প্রধান নির্বাচন কমিশনার

টপ নিউজ ডেস্কঃ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট চুরি সম্ভব নয় বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল দাবি করেছেন । তিনি বলেন, আইনস্টাইনও ইভিএম মেশিনের ফল পাল্টাতে পারবে না।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাবনার ঈশ্বরদীতে ‘নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন সিইসি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইভিএমের ভালো দিক হলো নিরাপত্তা, ভোটের নিরাপত্তা। যেমন আমার ভোট আমি দেব অন্য কেউ যাতে কেড়ে নিয়ে সিল মেরে দিতে না পারে। ভোটাররা না গেলে, ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে ডিজিটাল ব্যালট ওপেন হবে না।

কিন্তু আমাদের বড় একটা অংশ দাঁড়িয়ে গেল ইভিএমের বিপক্ষে। তারা বলতে লাগলেন, এটা ভোট চুরির মেশিন। আমি নির্বাচন কমিশনে প্রথম যখন আসি তখন আমিও মনে করতাম হয়তো এই মেশিনে ভোট চুরি করা যায়। কিন্তু এরপর পরীক্ষা করতে থাকি। পরীক্ষা করেছি দীর্ঘদিন ধরে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসে তাদের মেশিন দিয়ে বললাম আমাদের দেখিয়ে দেন কারচুপি কীভাবে করা সম্ভব। কিন্তু তারা দেখাতে পারেননি। গত ৯-১০ মাসে নির্বাচনেগুলাতে কােনো বস্তুনিষ্ঠ অভিযোগ পাইনি। আবার বলা হলো, শেষের ১০ মিনিটে ফলাফল পাল্টে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু এই ১০ মিনিটে যদি একজন আইনস্টাইনকেও বসিয়ে দেওয়া হয় তিনিও ফল পাল্টাতে পারবে না। এটা সম্ভব না।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে সৃষ্টি হতে পারে বিতর্ক । রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে বোঝাপড়ায় ফাঁক থাকলে, কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে, নির্বাচন প্রত্যাশিত মাত্রায় অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলা যাবে না। সেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হতে পারে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা স্বস্তিদায়ক ও সহজভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। সেজন্য আমরা প্রত্যাশা করি, দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাদের মধ্যে মোটাদাগে বোঝাপড়া থাকে তাহলে ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে যদি বোঝাপড়ার ফাঁক থাকে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন। সবার সহযোগিতায় সব রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে জনগণের কাছে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চেষ্টা করব।’

এর আগে কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সবার সহযোগিতা ছাড়া বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং নির্বাচনি প্রশাসন ছাড়া সুষ্ঠু নিবার্চন সম্ভব নয়।’ কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগ ও প্রশাসনের দরকার আন্তরিকতা । ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারছেন সেটার পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের। আমাদেরও প্রচেষ্টা আছে যে নির্বাচন কমিশনকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। আমি বিশ্বাস করি ইভিএমে এখন অনেকের আস্থা এসে গেছে। আগে যে অনাস্থা ছিল গালমন্দ করা হতো এখন অতটা গালমন্দ করা হয় না।

কারণ এখন পর্যন্ত কেউ নির্বাচন কমিশনে অথবা আদালতে প্রমাণ দেখাতে পারেননি যে এটাতে কারচুপি হয়েছে। বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউটের সেমিনার হল রুমে আয়োজিত কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফর উল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব্য দেন , বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল বাতেন।

সম্পাদনায়ঃ পূরবী রায় ।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles