সর্বশেষ

28 C
Rajshahi
বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪

১১০ টাকার খেজুরে শুল্ক ১৪০ টাকা!

টপ নিউজ ডেস্ক: সবার সহযোগিতা না পেলে বাজারে খেজুরের দাম কমবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। তিনি আরো  বলেন,  বর্তমানে এক কনটেইনার খেজুর আমদানি করতে ৫০ লাখ টাকা শুল্ক দিতে হয়। এনবিআর রমযানে খেজুরকে  বিলাসী পণ্য হিসেবে মূল্য ধরেছে।

আজ দুপুরে মতিঝিলে এফবিসিসিআই বোর্ডরুমে আয়োজিত ‘আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর উৎপাদন, আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও সামগ্রিক দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা’র জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়  এ কথা বলেন।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমদানি করা ১১০ টাকা কেজি দরের খেজুরে ১৪০ টাকা শুল্ক দিয়ে বাজারে বিক্রি করতে হয় প্রায় ২৫০ টাকা এবং আমদানি করা ১২০ টাকার খেজুর কেজি দরের  ২১০ টাকা শুল্ক দিয়ে বাজারে ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়। আর এজন্যই বাজারে খেজুরের দাম বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই শুল্ক যুক্ত করা হয়েছে। অথচ গত বছর এক কেজি খেজুরে ১০ টাকা শুল্ক দিয়েছি।

তিনি বলেন, ইফতারের সময় মুসলমানরা অন্তত দুই-তিন টুকরো খেজুর খান। গত ৩৫ বছর ধরে আমি খেজুর আমদানি করছি, কিন্তু কখনো শুল্ক দেয় নি। আমি খেজুর আমদানি করলাম ৯০০ থেকে ১০০০ ডলারে অথচ  চট্টগ্রামের কাস্টম কমিশনার সাধারণ কনটেইনার খেজুরের জন্য ২৫০০ ডলার ও হিমায়িত কনেটেইনারে খেজুরের জন্য ৪০০০ ডলার শুল্ক নির্ধারণ করেছে। এতে করে খেজুরের দাম বেড়ে দাড়াঁল দুই থেকে তিনগুণ ।

অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই কথা বলবে না জানিয়ে এফবিআইয়ের সভাপতি বলেন, রমজানে বাজার মনিটরিং দিয়ে হবে না পুলিশ দিয়ে করানো হোক। এটার জন্য বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনিটরিং করলেই  ভালো হয়। আপনারা  এটা না করলে সরকারিভাবে অনেক হয়রানির শিকার হতে হবে।

সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles