সোহেল রানাঃ রাজশাহী তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে,উঠেছে রাজনীতি অঙ্গে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।
হাজারো জল্পনা কল্পনা শেষে চলতি মাসের ১৬ জুন হতে যাচ্ছে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহুল প্রতীক্ষিত সম্মেলন। তবে এই সম্মেলন কোথায় হবে ও প্রধান অতিথি,বিশেষ অতিথি কারা থাকবেন এ নিয়ে এক প্রকার বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে নেতাকর্মীর মধ্যে। জানা গেছে প্রায় দেড় যুগ আগে তানোর উপজেলা প্রাঙ্গনে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গোলাম রাব্বানীকে সভাপতি ও আব্দুলাহ আল- মামুনকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে মনোনিত করা হয়ে ছিলো। তার পর থেকে চলে তাদের নেতৃত্ব কিন্তু হটাৎ করে ২/৩ বছর আগে তানোর উপজেলা আঃলীগ সংগঠন থেকে নিজেদের কে আড়াল করেছিলেন এমনকি আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের কোন মিটিং মিছিলে দেখা মিলে নি তাদের। এমতাবস্থায় তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির স্বার্থে তানোর উপজেলা আঃলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে শরিফ খাঁন ও রামকমল শাহ কে সাধারণ সম্পাদক করে তানোর উপজেলা আঃলীগ সহযোগী সংগঠনের মিটিং মিছিল ও বিভিন্ন দিবস পালিত করা হচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার মাঝি হিসেবে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে রাব্বানী ও আল মামুন সর্বদাই তানোরে বিরোধিতার বিষ বাষ্প ছড়িয়েছে। অপরদিকে, আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরীর আস্থাভাজন বলে পরিচিত তানোর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার সঠিক নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত সুসংগঠিত হচ্ছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগসহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সকল সংগঠন। পাশাপাশি তার নের্তৃত্বেই বিভিন্ন দিবস ও রাজনৈতিক মিটিং মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য,গত তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ও ইউপি নির্বাচনে সাবেক মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানীর আপন ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম আঃলীগের মনোনীত প্রতীক নৌকার বিপক্ষে গিয়ে বাংলাদেশ ওয়াকাস পার্টির (হাতুড়ী) ও ইউপি নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন সেই দুই নির্বাচনে পুরা লিড দিয়েছিলেন গোলাম রাব্বানী, শুধু তাই না গত ৩০ জানুয়ারি মুন্ডুমালা পৌর নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে গিয়ে জক প্রতিক নিয়ে নৌকাকে ফুটো করে ছিলেন গোলাম রাব্বানী’র হাতে গড়া সাইদুর রহমান সে নির্বাচনেও নৌকার বিপক্ষে ওপেন মাঠে কাজ করেছিলেন রাব্বানীর পরিবারের সদস্যরা এমন কি গোলাম রাব্বানী নিজ কেন্দ্র তে বিপুল ভোটে নৌকার পরা জয় হয়েছিল। তবে সাইদুর রহমান কে মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমান তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন গত ২০০৯ ইং সালে তানোর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ছিলেন কিন্তু দল তাকে মনোনয়ন দেন নি। আওয়ামী লীগের বিপক্ষে গিয়ে তিনি নির্বাচন করে ছিলেন। ফলে আঃলীগের তোতকালিন সভাপতি গোলাম রাব্বানীর পরাজয় হয়েছিলো।
তানোর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না আগামী সম্মেলন নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,জনো নেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত সংসদ সদস্য আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্দেশনা অনুযায়ী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাজনিতি করি আমি আওয়ামী লীগ সংগঠনের সাথে কখনো বেইমানি করি নি আর ভবিষ্যতেও করব না। তবে তিনি ২০০৩ সাল থেকে যুবলীগে আছেন আগামী ১৬ জুন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি প্রার্থী হবেন কি না যানতে চাইলে তিনি বলেন,তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠন ও কেন্দ্রয় নেতৃবৃন্দ যদি আমাকে চাই তাহলে আমি আছি তা নাহলে আমি নাই। আওয়ামী লীগ সংগঠন তথা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তকে আমি মেনে চলি এবং আগামীতে চলবো ইনশাআল্লাহ।
সম্পাদনায়ঃ শিরাজী ফেরদৌস ইমন