টপ নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘ এক যুগেও বাস্তবায়ন হয় নি শিক্ষা আইন। এ নিয়ে এডুকেশন ওয়াচ চেয়ারপারসন ও শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদাকে চৌধুরী হতাশা প্রকাশ করেছেন।
রবিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে ‘শিক্ষা আইন : নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, সংসদে শিক্ষা আইন পাস করার আগে জনগণের সামনে তার খসড়া উন্মুক্ত করতে হবে। কারন, শিক্ষা নিয়ে যারা কাজ করে তারা যেন তাদের মতামত দিতে পারেন।
তিনি বলেন, সুন্দর দেশ গড়তে অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন প্রয়োজন। প্রত্যেকেই মর্যাদা পাবে এমন একটি দেশ গড়তে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন না করার দায় রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক।
সভায় গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, শিক্ষা আইন আদৌ ক্যাবিনেটে গেছে কি না তা আমরা জানি না। এ বিষয়ে কিছুই আমাদের জানানো হচ্ছে না। অথচ এটি আমাদের জনগণকে জানানো উচিত। শিক্ষা আইন দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
এই শিক্ষা নীতিতে কোচিং-প্রাইভেট পড়ানো যাবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের শিক্ষা নীতিমালাকে বৈধতা দিয়ে আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, কোচিং বাণিজ্য-ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। আগেও প্রাইভেট পড়ানোর একটি বিষয় ছিল। তবে সেটা এতটা বাণিজ্যিক ছিল না। কিন্তু এখন এটি বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। উন্নত বিশ্বে স্কুলের মধ্যে রেমেডিয়াল কোচিং চালু আছে। তবে তা টাকা বিনিময়ে নয়।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা