টপ নিউজ ডেস্কঃ পাওয়া আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) ও দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত হাজী মোঃ সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ (রোববার) প্রায় বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে আদালতে আত্মসমর্পন করেন হাজী সেলিম এবং জামিন আবেদন করেন। তবে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে তিন ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে হাজী সেলিম আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। সেখানে আগে থেকে তার অনুসারীরা অপেক্ষা করছিল এবং বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি ছিল আদালতের মূল ফটকে। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর হাজী সেলিম প্রবেশ করেন আদালতের ভেতরে।
গত ২৫ এপ্রিল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিচারিক আদালতে হাজী সেলিমকে দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহালের রায় দেয় হাইকোর্ট এবং রায় নিম্ন আদালতে পাঠানো হয়। সেদিনই দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেছিলেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী হাজী সেলিমকে ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আজ (২২ মে) আত্মসমর্পণ করেছেন হাজী সেলিম।
এর আগে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল এ মামলায় তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম এবং ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন।
এর পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পুনরায় আপিল করে দুদক। ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি সেই আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্টের আগের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টেই শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। তারপর বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে ২০২১ সালের ৯ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি এ. কে. এম. জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।যার রায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ করা হয়।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা