সর্বশেষ

39.3 C
Rajshahi
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

আজ জাতীয় শোক দিবস

টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী আজ। বাঙালি জাতি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দিবসটি পালন করবে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে।

কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেই ক্ষান্ত হয় নি ঘাতকরা, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান ছেলে শেখ কামাল,  শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল এবং রোজি জামাল।

এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি রাজনীতি থেকে দূরে থাকা বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।

বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এ সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

মূলত, বাংলাদেশে এক বিপরীত ধারার যাত্রা শুরু হয়  ৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকেই। সামরিক শাসনের অনাচারী ইতিহাস রচিত হতে থাকে বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে।

১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করে জিয়াউর রহমান।

সুদীর্ঘ একুশ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তিন প্রধান আসামী বরখাস্ত লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুর ও সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।খুনিদের বিচারের হাতে ন্যস্ত করতে ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়।এরপরও বিচারক বিব্রত হওয়াসহ স্বাধীনতা-বিরোধী চক্রের নানা বাধার কারণে ১৯৯৭ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত ৮বার বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।

অবশেষে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি সকল প্রকার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ৫ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতিকে দায়মুক্ত করা হয়। ভারতে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর আরও একজন খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল কার্যকর করা হয়।

এখনও বিচারের বাইরে রয়েছে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি এখনও। আত্মস্বীকৃত পলাতক সেই পাঁচ খুনি হলেন- এ এম রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন খান, নূর চৌধুরী ও খন্দকার আব্দুর রশিদ।

সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা

Related Articles

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles