টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ বুধবার (৫ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গাপূজায় বিজয়া দশমী। পাঁচ দিনব্যাপী শারদ উৎসবের আজ শেষ দিন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ বছরের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসব প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। জানা যায়, আজ সকালে ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দশমীর বিহিত পূজা এবং পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জন শেষ হয়।
এক অন্যরকম আবেগ ও মন খারাপ করা অনুভূতির সৃষ্টি হয় বিজয়া দশমীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে। কারণ, দশমী মানেই হচ্ছে দুর্গা মায়ের ফিরে যাওয়া। এরপর অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটি বছর।
সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী জানা যায়, এবার দেবীদুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) এসেছেন গজে (হাতি) চড়ে। এতে জানা যায়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় বৃষ্টি হবে এবং শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে, দেবী স্বর্গে বিদায় নেবেন নৌকায় চড়ে। যার ফলে সাধিত হবে জগতের কল্যাণ।
এদিকে, রাজশাহীতে বেলা ১২টায় মহানগরীর বদ্দা-কালিবাড়ি মন্ডপের প্রতিমা কুমারপাড়া মুন্নুজান পদ্মাঘাটে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিসর্জন কার্যক্রম। এসময় রীতি অনুযায়ী সাত পাক ঘুরিয়ে প্রতিমাকে তোলা হয় নৌকায়। বাদ্যের তাল ও মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে কিছুক্ষণ নৌভ্রমণ শেষে দেবী দুর্গাকে পদ্মার বুকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হয়। এসময় পদ্মাপাড়ে বিসর্জন দৃশ্য দেখতে ভীড় করেন অসংখ্য মানুষ।
দুর্গা দেবীকে নৌকায় তুলে ঘুরিয়ে করা হয় নিরঞ্জন। এর আগে দেবীকে পান্তাভাত খাইয়ে বিদায় জানানো হয়। মহানগরীর আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বিঘ্নে বিসর্জন সম্পন্ন করতে মহানগরীর মুন্নুজান, পঞ্চবটি, আলুপট্টি, ফুদকিপাড়া ও বড়কুঠি ঘাটে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। বিসর্জনের সময় উচ্চস্বরে মাইক বাজানো, শোভাযাত্রা ও গানবাজনা নিষিদ্ধ এবং এলাকাগুলোতে টহল বাড়িয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
এছাড়াও একাধিক সিসি ক্যামেরা প্রতিটি ঘাটে রয়েছে। নদীতে রয়েছে গোয়েন্দা ও নৌ পুলিশের বিশেষ বহরসহ ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সময় সীমা নির্ধারণ না করা হলেও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী রাত ১২টার মধ্যে এ আয়োজন শেষ করতে চায়।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা