টপ নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জীবন হুমকিতে আছে বলে দাবি করেছে তাঁর দলের এক নেতা। পাকিস্তানের দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এই তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন। এমন প্রেক্ষাপটে দেশটির ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের নেতা ফয়সাল ভাওদা দাবি করেছেন দলীয় প্রধান ইমরানের জীবন মারাত্মক হুমকিতে আছে। দেশটির জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আগামী ৩ এপ্রিল ভোটা হওয়ার কথা রয়েছে। জিও টিভির সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী যানা যায়, বড় ব্যবধানে অনাস্থা ভোটে হেরে যেতে পারেন ইমরান খান।
গতকাল বুধবার পিটিআই নেতা ফয়সাল দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে ইমরান খানের নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। ফয়সাল উল্লেখ করেন সভা-সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বুলেটপ্রুফ গ্লাস ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।
ফয়সাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একজন সাহসী ব্যক্তি। তিনি পাকিস্তানের বিষয়ে আপস করবেন না। তিনি কারও কাছে জাতির মাথা নত হতে দেবেন না।পিটিআইয়ের এই নেতার কথাই জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেও জীবননাশের হুমকি পেয়েছেন। এখন সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি)। গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেয় তারা। এই ঘোষণার পর ইমরান খান বিরোধীদের পাল্লা অনেক ভারী হলো। অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও ভুল নীতির অভিযোগ তুলে গত সোমবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে এই অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী নেতারা। এরপর আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পরিষদের অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার আসাদ কায়সার। আজ অধিবেশনে ওই প্রস্তাবের বিতর্ক শুরুর কথা রয়েছে।
পাকিস্তান সংবিধান অনুযায়ী যানা যায়, জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব করা হলে তার অন্তত তিন দিন পর এবং সাত দিনের মধ্যে ভোট আয়োজন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একাধিক সূত্রে জানা যায়, আগামী সোমবার অনাস্থা ভোট হতে পারে।পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন সংখ্যা ৩৪২টি। ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , জাতীয় পরিষদে এখন ইমরান খানের পক্ষে রয়েছে মাত্র ১৪২ আইনপ্রণেতা। আর তাঁর বিপক্ষে রয়েছেন মোট ১৯৯ আইনপ্রণেতা।
সম্পাদনায়ঃ মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ
