টপ নিউজ ডেস্ক :গবেষণাধর্মী এরকম পরিকল্পনা নিয়ে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
আজ দুপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।
স্বাগত অনুষ্ঠানে, বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল কাইয়ূম।এই কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-প্রধান মাসুদ আরা মমি।তার দেয়া এই প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলীসহ নৌপুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, ইলিশ যেমন আমাদের গৌরবের জায়গা, তেমনি ইলিশ জাতীয় অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও একটা বড় ক্ষেত্র। সেই কারনে এটিকে লালন-পালন, পরিচর্যা এবং বিভিন্ন গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে সামনে আরও বেশি উৎপাদন বাড়ানো এবং এটিকে সত্যিকার অর্থে একটি বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করতে চাই। সবার যার যার সাধ্যমত জায়গায় অবদান রাখলে ইলিশ উৎপাদনে আরও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।
ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করেন মন্ত্রী । যেমন: দেশে ইলিশের অভয়াশ্রম কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সে জায়গাগুলো থেকে উত্তরণ করা প্রয়োজন। তাছাড়া ইলিশের বিচরণ পথ সুগম ও নিরাপদ করতে হবে। এরকম না হলে ইলিশের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। পাশাপাশি আরো পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।প্রকৃত মৎসীজীবীদের একটা সুনির্দিষ্ট তালিকা করা জরুরি। এমনকি এক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সম্পাদনায় : আয়েশা ইসলাম