টপ নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে দেশ দীর্ঘ ছুটির কবলে পড়তে যাচ্ছে। ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ অবস্থায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে হাসপাতালগুলোতে কর্মরতদের ।
রোববার (৩১ মার্চ) ডা. আবু হোসাইন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, ছুটিকালীন কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়া যেতে পারে ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে।
এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি মঞ্জুর করবেন নিরবিচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অনুকূলিতভাবে। সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে কেবল ঈদের ছুটির সময়ে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন নিজ জেলার মধ্যে।
সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি জরুরি বিভাগে নিশ্চিত করার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে বলা হয়েছে জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমারজেন্সি ওটি। আরও বলা হয়েছে নির্দেশনায়, আন্তঃবিভাগে ইউনিট প্রধানগণ তদারকি করবেন প্রতিদিন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমূহে সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে জরুরি ল্যাব, এক্স-রে সেবা।
ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ছুটিকালীন সময়ের জন্য মজুদ ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে পর্যাপ্ত ওষুধ, আই ডি ফ্লুয়িড কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফকে অবশ্যই অবস্থান করতে বলা হয়েছে নিজ জেলা ও উপজেলায়।
একইসঙ্গে, চালু রাখতে হবে সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম পত্র দিতে হবে। নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করার প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদেরকে।
বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাওয়ার কথা; একইসঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর। এছাড়া, প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি এবং রোগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের।
সম্পাদনায়: শাহনাজ সাফা