টপ নিউজ ডেক্সঃ দেশে গত দুই বছর করোনা মহামারির ধকলের পর এ বছর আমদানি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু বেনাপোল বন্দরে গুদামের জায়গা সংকটের কারণে ভারতীয় ট্রাক এখনো প্রবেশ করছে ঢিলেঢালাভাবে। জানা গেছে, ভারত থেকে দৈনিক ৬ থেকে ৭শ’ ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করার কথা থাকলেও সেখানে দৈনিক মাত্র আড়াই থেকে তিনশ’ ট্রাক প্রবেশ করছে। বাকি ট্রাক আসতে না পারার কারণে আমদানিকারকদেরকে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার ভারতীয় রুপী ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। বেনাপোল স্থলবন্দরে পণ্য রাখার জায়গা না থাকায় ৮-১০ দিন দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ভারতীয় ট্রাক চালকদের। যে কারণে ভারতের ব্যবসায়ীরা এতে খুবই অসন্তুষ্ট।
বেনাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের জানান, এই স্থলবন্দরের ৩৪টি গুদাম ও ৮টি ইয়ার্ড, ২টি ট্রাক টার্মিনাল ও একটি রপ্তানি টার্মিনাল আছে। কিন্তু কোথাও কোন জায়গা খালি নেই। বর্তমানে গুদামের ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি পণ্য আমদানি হচ্ছে। যে কারণে ভারত থেকে আসা ট্রাকগুলোকে ৮-১০ দিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। তাই এখনই বন্দর সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় পণ্য আমদানি-রপ্তানি বেশ কয়েকগুণ বেড়েছে। ধারণ ক্ষমতা ৫৯ হাজার মেট্রিক টন কিন্তু গুদামে দ্বিগুণের বেশি পণ্য রাখা হচ্ছে। তাই স্থান সংকুলানের জন্য শেড-ইয়ার্ড তৈরির জায়গা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শীঘ্রই ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু হলে বন্দরের পণ্যজটের সংকট অনেকটা কেটে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান বলেন, প্রতিবছর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সে অনুপাতে এখানকার রাজস্বের উৎস বাড়ছে না। এতে প্রতিবছরই দেখা দিচ্ছে রাজস্ব ঘাটতি। বন্দরের জায়গা বৃদ্ধির জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।