শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগরে একটি পুরাতন টায়ার কারখানা থেকে টায়ার পোড়ার দুর্গন্ধ ও বিষাক্ত গ্যাসে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। উপজেলার হোগলাগাঁও এলাকায় সড়কের পাশে ‘রাজ টায়ার সোল্স ফিটিংস’ নামে গড়ে উঠা ওই কারখানায় গাড়ির টায়ারের রিপেয়ারিংয়ের কাজ হচ্ছে। ছাড়পত্রবিহীন কারখানার ধূলা ময়লা, টায়ার পোড়া গন্ধ ও গ্যাসে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের দাবী টায়ার পুড়ার গন্ধে বিপর্যস্ত হচ্ছে গ্রাম্য পরিবেশ। সতেচন মহল মনে করেন, জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এমন কোন কল কারখানা যেখানে সেখানে হওয়া উচিত নয়। সরকারের নীতিমালার মধ্যে পড়ে না ও পরিবেশ এবং মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় এমন কিছু করা ঠিক নয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রীনগর বেজগাঁও-কুকুটিয়া বাজার সড়কের পাটাভোগ এলাকার হোগলাগাঁও (তালতলা) রাস্তার উত্তর পাশে একটি বাড়িতে গড়ে উঠেছে রাজ টায়ার সোল্স ফিটিংস নামক কারখানাটি। ভিতরে প্রবেশ করতে দেখা মিলে বিভিন্ন ধরনের পুরাতন বড় সাইজের অসংখ্য গাড়ির টায়ার। অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন, ধূলা ময়লার মধ্যে কারখানায় ৫ থেকে ৬ জন শ্রমিক কাজ করছেন। রাসায়নিক পদার্থ ও ক্যামিকেল/আঠা এবং এক ধরণের রাবার গুড়া পুড়িয়ে পুরাতন এসব টায়ারে প্রলেপ দিয়ে সোল্স লাগানো হচ্ছে। এ সময় কারখানার নোংরা পরিবেশে চোখ জ্বালাপোড়া ও শ্বাষকষ্টে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে।
শ্রমিকরা জানায়, কারখানাটি আগে ঢাকায় ছিল বেশীদিন হয়নি এখানে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. গোলাম রাব্বানী শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কারখানা শুরু করি। শুধুমাত্র একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধির প্রদানকৃত ইউপি ট্রেড লাইসেন্সই কি এই কারখানার সার্বিক বৈধতাবহণ করে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এটাতো ক্ষুদ্র শিল্প, এজন্য আবার পরিবেশ ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র লাগে নাকি? তা আমার জানা নেই।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব-অফিসার মো. শাহ্ আলম বলেন, এ কারখানাটির বিষয়ে আমাদের কাছে কোন রেকর্ড নেই। দাহ্যপদার্থ ও আগুন ব্যবহার হলে অবশ্যই ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স নিতে হবে এবং অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা যথাযথ হলে তবেই লাইসেন্স পাবে।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা