শাহাদাত হোসাইনঃপবিত্র মাহে রমজান শেষের দিকে আসলেও ঝাঁজ কমেনি বাজারের। বরং বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। আজ ২৭ তম রমজান, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের বাকি আর মাত্র ৪ দিন। কিন্তু কমেনি চাল, ডাল,চিনি , সেমাই ,তেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।
রাজহশাহী শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) নগরীর সাহেববাজার কাঁচাবাজারে বিভিন্ন বিক্রেতা থেকে শুরু করে ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে গত কয়েকদিনের তুলনায় বেড়েছে বিভিন্ন মসলা দ্রব্যাদি সহ শাকসবজির দাম। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খাসির মাংসের দাম।
সাহেববাজার কাঁচা বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলু ১৫ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৪০, ঢেড়শ ২০, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কাকরোল ৮০,বরবটি ৬০,টমেটো ৪০ টাকা, বেগুন কিছুটা কমে হয়েছে ৬০-৭০ এবং লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০টাকা হালি দরে।
বেড়েছে বিভিন্ন মসলার দাম। বিভিন্ন মসলার দোকান ঘুরে দেখা গেছে আদা প্রতি কেজি ৩০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১০০-১২০ম টাকা, রসুন ৭০,কাঁচা মরিচ ৮০, এলাচ ২৩০০ টাকা কেজি, লবঙ্গ বেড়ে হয়েছে ১২০০ টাকা কেজি, দারুচিনি ৩৯৫-৪১০ টাকা কেজি, ৫ টাকা বেড়ে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা।
এদিকে মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস, যা রাজশাহীর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি, এবং ছাগলের মাংস ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৬৫০, ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, লেয়ার ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও দোকানগুলোতে খোলা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৪০ টাকা, চিনি ৮০ টাকা, প্যাকেট সেমাই প্রকারভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।
তবে এখনও অস্থিরতা রয়েছে তেলের বাজারে, দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে সোয়াবিন খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা, ২ লিটার বা ১ লিটার বোতল বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা লিটার দরে। তবুও ক্রেতারা চাহিদামতো তা পাচ্ছেননা। বাজারে ৫ লিটারের বোতল একেবারেই পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
তেল বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দাম বেশি হওয়ার কারণে তারা তেল নিয়ে আসছেননা।তবে কেউ কেউ আবার দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে ক্রেতাদেরকেই দায়ী করছেন।
বিভিন্ন ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাজারে ৫ লিটারের যে বোতল রয়েছে সানফ্লাওয়ার কোম্পনির তা একবারেই সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। অর্থ্যাৎ তা বিক্রি হচ্ছে ১৬৮০ টাকা বোতল।
বাজার নিয়ন্ত্রন করতে হলে কিছু কিছু কোম্পানী সহ সিণ্ডিকেটের মাধ্যমে যারা জিনিসপত্র মজুদ করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান সাধারন ক্রেতারা।