টপ নিউজ ডেস্ক: তিনি লেখাপড়া করেছেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। পরিবারে অভাব- অনটনে জেঁকে বসায় স্কুলের পথ আর মাড়ানো হয়নি।।এরপর নেমে পড়েন দুধ বিক্রিতে। মনের মধ্যে স্কুলে না যাওয়ার আক্ষেপটা থেকেই যায়। আর তাই তো তিনি পরিশ্রমের মজুরি থেকে এলাকার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বইসহ অন্যান্য উপকরণ কিনে দিতেন। ঠিক এভাবেই শিক্ষার আলো ছড়ানো শুরু মানুষটির।এরপর গড়ে তুলেন ‘জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার’। এখানে রয়েছে বইয়ের বিশাল ভাণ্ডার। এই মানুষটি আর কেউ নন, আলোকিত মানুষ জিয়াউল হক।তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চামামুশরীভুজা গ্রামে।
‘বেচি দই, কিনি বই’ স্লোগানের রূপকার এই মানুষটি শিক্ষার আলো ছড়ানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি। ব্যাপকভাবে তিনি সমাজসেবায় জড়িয়ে পড়েন। ঘরবাড়ি নির্মাণ থেকে শুরু করে এলাকার খাবার পানি সংকট নিরসনে টিউবওয়েলও স্থাপন করেন। চরম দরিদ্রতাকে পিছনে ফেলে পথচলা জিয়াউল চাঁপাইনবাবগঞ্জকে আবারও গৌরবান্বিত করেছেন।
এখানেই শেষ নয় ,তিনি একুশে পদক-২০২৪ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন। এছাড়াও সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জিয়াউল হক একুশে পদক পাচ্ছেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। জিয়াউল হক ছাড়াও দেশের আরও বিশিষ্ট ২০ নাগরিক একুশে পদক পাচ্ছেন।
সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম