সর্বশেষ

43.8 C
Rajshahi
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

দুই ঘন্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু 

টপ নিউজ ডেস্ক:নওগাঁর মহাদেবপুরে পারিবারিক দ্বন্দ্বে স্বামী-স্ত্রী গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এর আগে রাত ৯ টার দিকে তারা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন । নিহতরা হলেন- উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বরাইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সুমন হোসেন (৪০) ও তার স্ত্রী গোলাপি খাতুন (৩০)।

নিহতের পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়- সুমনের প্রথম স্ত্রী খাতিজা বেগম কে না জানিয়ে গোপনে গত এক সপ্তাহ আগে গোলাপিকে বিয়ে করে। গত মঙ্গলবার খাদিজা তার বাবার বাড়ি গেলে এ সুযোগে ছোট বউ গোলাপিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন সুমন। বুধবার বিকেলে খাদিজা বাড়ি আসার পর থেকেই ঝগড়া চলছিল। রাতেই তারা এক সাথে খাবারও খাই। পারিবাকি দ্বন্দ্বে রাত ৯টার দিকে সুমন ও গোলাপি গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করলে প্রতিবেশীরা জানতে পেরে তাদের উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ১২টার দিকে গোলাপি ও রাত ২ টায়।

সুমনের প্রতিবেশি চাচী গৃহবধু চাম্পা বেগম বলেন- সুমনের আগের সংসারে দুই সন্তান ও স্ত্রী আছে। দিনজমুর হওয়ার পরও গোপনে আরেকটি বিয়ে করে মঙ্গলবার বাড়ি নিয়ে আসে। এসময় বড় বউ তার বাবার বাড়ি ছিল। সংবাদ পেয়ে বড় বউ খাদিজা মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি আসে। এরপর থেকে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। রাতেও তারা সবাই এক সাথে খাবার খেয়ে ছোট বউকে নিয়ে শুয়ে পড়ে।  সুমন বড় বউয়ের কাছে যেতে চাইলেও দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। রাত ৯টার দিকে হয়ত তারা দুজনে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে। বিষয়টি জানার পর তাদের উদ্বার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু আনসারি বলেন- হাসপাতালের নিয়ে আসার পর থেকেই তাদের দুজনের অবস্থা খুবই গুরুত্বর ছিল। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রেফার্ড করার  প্রক্রিয়া করা হলেও রোগীর স্বজনরা অনত্র নিতে চাইনা। তারপরও তাদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোলাপি ও পরে সুমন মারা যায়।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন বলেন- পারিবারিক দ্বন্দ্বে গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে আত্মহত্যার করেছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। ময়নাতদন্তের পর আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles