টপনিউজ ডেস্ক :নওগাঁয় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের ৩৯টি অভিযোগের গণশুনানি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক।
গণশুনানিতে বিআরটিএ, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, নির্বাচন অফিস, সিআইডি, উপজেলা ভূমি অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, নওগাঁ পৌরসভা, প্রধান ডাকঘর নওগাঁ, নেসকো-১, উপজেলা শিক্ষা অফিস, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোপম্পানী লিঃ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়সহ ১৫টি সরকারি-বেসরকারি ও শায়িত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান এবং আশরাফুল ইসলাম শহীদ নামে এক কাজীর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ উপস্থাপন করেন সেবা গ্রহীতারা। এসব অভিযোগের মুখোমুখি হন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে অভিযোগ নিষ্পত্তির পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থ্যা নেওয়ার নির্দেশনা দেন দুদক কমিশনার। এসময় প্রতারণার দায়ে ভুয়া কাজীকে গ্রেফতারের নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলার সভাপতিত্বে গণশুনানিতে অন্যদের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (তদন্ত) আকতার হোসেন,রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক কামরুল আহসান, নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, সাংবিধানিক ভাবে সরকারি কর্মকর্তা -কর্মচারিরা বাধ্য জনগনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সঠিক সেবা দিতে। তাদের কে যেন আমরা শ্রদ্ধা ও সঠিক সন্মান দিতে দিতে পারি। মনে রাখতে হবে জনগনের ট্যাস্কের টাকায় আমাদের বেতন হয়। তাই জনগনকে সেবা দিতে হবে সবার আগে। বিশ্বের কোন দেশে সংবিধানের মালিকানা জনগণকে দেওয়া হয় নাই কিন্তু বাংলাদেশে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম