নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়েছে। সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেলে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে মান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি ও ভারশোঁ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, মামলার বাদী পানিয়াল গ্রামের বিদ্যুৎ হোসেন এলাকার চিহ্নিত একজন মাদকসেবী। গত ১০ জুলাই কোরবানির ঈদের দিন সাবাই বাজার থেকে মদ্যপ অবস্থায় বিদ্যুৎ হোসেনকে গ্রামপুলিশ দিয়ে পরিষদে ডেকে আনা হয়।
চেয়ারম্যান সুমন আরও বলেন, পরিষদে চেয়ারম্যান কামরুলসহ কয়েকজন সদস্যেকে দেখে গ্রামপুলিশের হাত থেকে ছিটকে পালানোর চেষ্টা করেন বিদ্যুৎ হোসেন। এ সময় দৌড়ে পালাতে গিয়ে পরিষদের দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যান। এতে ভেঙে যায় তাঁর ডান হাত। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকসেবনেরও একাধিক মামলা রয়েছে।
কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, এলাকার চিহ্নিত একজন মাদকসেবীকে শাসন করতে গিয়ে মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল। ষড়যন্ত্রমুলক এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
এসময় মান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরামের সাধারণ সম্পাদক গোলাম আজম, ক্যাশিয়ার আবদুল মতিন ম-ল, পরানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান উজ্জল, গনেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী, মৈনম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছার রহমান, কুসুম্বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওফেল আলী ম-ল, কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ হোসেন বলেন, ‘পারিবারিক বিষয় নিয়ে পরিষদের গ্রামআদালতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছিলাম।
মামলার ফি’র কথা বলে উভয়পক্ষের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেন চেয়ারম্যানের লোকজন। এ কথা প্রকাশ করে দেওয়ায় চেয়ারম্যান কামরুল আমার ওপর চরম ক্ষিপ্ত হন। জের ধরে কোরবানির ঈদের দিন পরিষদে ধরে এনে রড দিয়ে পিটিয়ে ডান হাত ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আমি আদালতে মামলা করেছি।’
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই সাবাই বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে পানিয়াল গ্রামের বিদ্যুৎ হোসেনকে পরিষদে ধরে আনা হয়। এ সময় তাঁকে রড দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ এনে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি মান্দা থানার ওসিকে রেকর্ডভূক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা