টপ নিউজ ডেস্ক: ভাষা মানববৈশিষ্ট্যের অন্যতম উপাদান এবং মানুষের সৃজনশীল শক্তি । অন্য কোন প্রাণীর ভাষাবৈচিত্র্য নেই। বলা হয় যে, ‘তিনিই (দয়াময় আল্লাহ) সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনিই তাকে শিখিয়েছেন ভাব প্রকাশের (মাতৃভাষায়) উপায়।’ (সুরা : আর-রহমান, আয়াত : ৪)
আরবি আদি মানব-মানবীর ভাষা।
জালালউদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) বলেছেন, ‘আরবি সর্বপ্রাচীন ও প্রথম ভাষা’ (আল ইতকান-প্রথম খণ্ড)। আদম (আ.)-কে প্রথম জান্নাতে শব্দ ও ভাষাজ্ঞান দেওয়া হয়।
প্রিয় নবী বলেন, তোমরা তিন কারণে আরবিকে ভালোবাসো।
কারণ হিসেবে বলা হয়, আমি আরবিভাষী, কোরআন আরবি ভাষায় অবতীর্ণ এবং জান্নাতিদের ভাষা হবে আরবি।
ভাষাবিজ্ঞানীরা একমত, ইন্দো-ইউরোপীয় প্রাচীন ভাষাগুলোর উৎপত্তি হয় খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০০ থেকে ৩৫০০ অব্দে। ‘ইন্দো-ইউরোপীয় প্যারেন্ট স্কিচ’ বলতে বোঝায় ‘সিমেটিক প্যারেন্ট স্কিচ’ বা ‘সিমেটিক মূল ভাষা’ । নির্দিষ্টার্থে এই ভাষাই হলো ‘আরবি’। এই সম্পর্কে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আরবি, ফিনিশিয়ান, হিব্রু, আরমায়িক, সুরিয়ানি ইত্যাদি বর্ণমালা মূল সামি বা সিমেটিক বর্ণমালা থেকে উদ্ভূত। লিপিবিদরা প্রমাণ করেছেন যে গ্রিক, লাতিন, ইংরেজি প্রভৃতি ইউরোপীয় বর্ণমালার উৎপত্তি সামি বর্ণমালা থেকে।’ Linguistic Society of Paris ভাষার উৎপত্তিগত জটিলতার কারণেই ১৮৬৬ সালে ভাষার উৎসসংক্রান্ত সবরকম গবেষণাপত্র পাঠে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম