টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ ২৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বিশ্ব মেধাস্বত্ব দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও একযোগে পালিত হচ্ছে বিশ্ব মেধাস্বত্ব দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আইপি এন্ড ইয়ুথ: ইনুভেশন ফর এ বেটার ফিউচার’।
প্রতি বছরের ২৬ এপ্রিল বিশ্ব মেধাস্বত্ব দিবস পালিত হয়। এই দিনে “পেটেন্ট, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক এবং ডিজাইন কীভাবে দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে” সে সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো হয়। দিবসটি উদযাপনে ২৬ এপ্রিলকেই বেছে নেওয়ার কারণ হলো এদিন ১৯৭০ সালে বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা প্রতিষ্ঠার কনভেনশন কার্যকর হয়েছিল। এছাড়া দিনটিকে বিশ্ব আইপি দিবসও বলা হয়। মেধাসম্পদ সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা এবং বোঝার জন্য এটি একটি উপযুক্ত দিবস।
সংশ্লিষ্টরা দিবসটির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বলছেন, মেধাস্বত্ব বা কপিরাইট কথাটি সৃষ্টিশীলতার সঙ্গে জড়িত। যারা গান লিখেন, সুর করেন, বই লিখেন কিংবা অন্য কোনো আবিস্কার করছেন, তারা সেটি রেজিস্ট্রি করে রাখছেন না। সারাবিশ্বের মধ্যে যিনি বা যারা প্রথম সফল হয়ে মেধাস্বত্ব করে রাখবেন, তিনি বা তারা এর ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক সুফল পাবেন। বাংলাদেশেও এখন অনেক ভালো মানের পুস্তক প্রকাশিত হচ্ছে। বড় লেখক, বড় গবেষক তৈরি হচ্ছেন। তারা তাদের সৃষ্টিগুলো ধরে রাখতে না পারলে তা অন্য কারো হাতে চলে যাওয়ার জোর আশঙ্কা থেকে যায়।
সংশ্নিষ্টরা আরো জানান, কেবল ব্যক্তিই নয়, অসচেতনতার জন্য বহুদেশও অনেককিছু হারিয়েছে। যেমন, ব্রাজিল জীববৈচিত্র্যের দিক দিয়ে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি দেশ। কারন সেখানে বিশ্বের প্রায় ২২% উদ্ভিদের প্রজাতি জন্মে থাকে। কিন্তু সেগুলোর অর্ধেকের বেশি মেধাস্বত্ব এখন বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির দখলে।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা