টপ নিউজ ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম বেড়েছে । যদিও দেশে চিনি স্বাভাবিক রয়েছে আমদানি মোটামুটি । রয়েছে পর্যাপ্ত মজুতও । তবে অজানা কারণে দেশের বাজারেও সরবরাহ কম পরিশোধিত চিনির । অন্যদিকে দেশের বাজারে ফের বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম ।
আমদানিতে সরকারের ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ার অজুহাতে প্রতিদিনই ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। সবমিলিয়ে দেশে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য দুটির বাজারে এক ধরনের তৈরি হয়েছে অস্থিরতা ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১০ দিন আগে খাতুনগঞ্জের বাজারে এক মণ পরিশোধিত চিনির মূল্য তিন হাজার ৮৫০ টাকা ছিল। বুধবার (৩ মে) বিক্রি হয়েছে চার হাজার ৬২০ টাকায় ও বৃহস্পতিবার (৪ মে) ৪ হাজার ৬৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বছরে দেশে কম-বেশি ২০ লাখ টনের মতো চাহিদা রয়েছে চিনির । এ হিসাবে গড়ে প্রতি মাসে দেড় লাখ টনের বেশি চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বছরে দেশে চিনি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টনের মতো উৎপাদিত হয়।
বাকি চিনি আমদানি করে চাহিদা মেটানো হয়। দেশের বাজারে হাতে গোনা পাঁচটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করে চিনি । এগুলো হলো সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ,দেশবন্ধু গ্রুপ ও আবদুল মোনেম লিমিটেড। তারা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অপরিশোধিত চিনি এনে পরিশোধনের পর বাজারজাত করে ।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন ৬৭৫ মার্কিন ডলার অপরিশোধিত চিনির দাম । এক মাস আগেও যা ছিল ৫২০ মার্কিন ডলার। বর্তমান দরে চিনি আমদানি করা হলে এর খরচ পড়বে ১৩১ টাকা করে প্রতি কেজি ।
এ অবস্থায় চিনি আমদানি করবে কি না সে বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চেয়েছে চিনি আমদানিকারক ও পরিশোধনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। গত ২ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে সংগঠনটির মহাসচিব গোলাম রহমানের সই করা এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়।
সম্পাদনায়ঃ পূরবী রায় ।