টপ নিউজ ডেস্কঃ মধ্যপ্রাচ্যে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজিত হবে তা হয়তো কারও আসেনি মনোজগতেই । এক যুগের বেশি সময় আগে যখন কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের ঘোষণা এলো অবাকই হয়েছিল সবাই । কীভাবে সম্ভব মাত্র ১১৫৮১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের একটি দেশে ?
যেই দেশটির আবার কোনও সময়ই বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতাও নেই, ফুটবল ঐতিহ্যও নেই । অনেক বিতর্ককে এক পাশে রেখে সময়ের পরিক্রমায় অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে দেশটি তেল-গ্যাসে ভরপুর । বলতে গেলে মরুর বুকে সফল একটি মহাযজ্ঞ দেখেছে সবাই। যার শেষটা চরম আকর্ষণীয় হয়েছে । লিওনেল মেসি তথা আর্জেন্টিনার হাতে উঠেছে মহামূলব্যান সোনালী ট্রফি।
অথচ বিশ্বকাপের ভেন্যু হওয়ার জন্য আড়ালে-আবডালে অনেক কিছুই করতে হয়েছে কাতারকে। এর জন্য অনেক কথাই শুনতে হয়েছে তাদের। এক শীর্ষ কর্মকর্তা তো দীর্ঘমেয়াদে সাসপেনশনের খড়গ নিয়ে আছেন।
ভেন্যু প্রাপ্তির পর অবকাঠামো নির্মাণ করতে গিয়ে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের তীরও তাদের দিকে গেছে ।
বিশেষ করে অ্যামনেস্টি ইন্টান্যাশনাল তো প্রতিনিয়ত ছিল সোচ্চার। আর পশ্চিমারা তো সুযোগ পেলেই সমালোচনার বন্যা বইয়ে দিয়েছে। ‘প্রচুর শ্রমিকের মৃত্যুতে’ তখন একধরনের চাপে ছিল কাতারের সরকার তথা রাজ পরিবারও। এছাড়া বিশ্বকাপ শুরুর আগে দোহা থেকে অধিকাংশ শ্রমিককে সরিয়ে নেওয়া কিংবা বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়াটা দৃষ্টিকটূ ছিল ।
সম্পাদনায়ঃ পূরবী রায় ।