সর্বশেষ

32.3 C
Rajshahi
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

মহানবী (সা.) যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন

টপ নিউজ ডেস্ক: রমজান মাস হলো ইবাদতের বসন্তকাল। একজন মুমিনের আধ্যাত্মিক পরিচর্যা ও সওয়াব অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও তাঁর দয়া-করুণার আধারে সিক্ত হওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এর জন্য দরকার অনেক প্রস্তুতি। নবী (সা.) রমজান আসার আগেই পুরোদস্তুর প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন।

নিম্নে রমজান মাসকে স্বাগত জানানো ও তার প্রস্তুতি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আমলের কিছু দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হলো :

১.মহানবী (সা.) এই বরকতময় মাসটিকে আহলান সাহলান বলে স্বাগত জানাতেন আর সাহাবায়ে কিরামকে তিনবার এই প্রশ্ন করতেন : কে তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছে এবং তোমরা কাকে স্বাগত জানাচ্ছ? উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল!হুজুর ফেরেশতারা কি ওহি নিয়ে আসছেন? তিনি বললেন না।  আবার জিজ্ঞেস করা হলো, তাহলে কী? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের প্রথম রাতে সব কিবলাবাসীকে ক্ষমা করে দেন। (আত-তারগিব ওয়া আত-তারহিব, হাদিস : ১৫০২)

২.আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয় যে, রজবের চাঁদ উদিত হওয়ার সাথে সাথে রাসুলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর কাছে  দোয়া করতেন এই বলে যে—হে আল্লাহ!এই রজব মাস, শাবান আর (বিশেষ করে) রমজান মাসকে আমাদের সবার  জন্য বরকতময় করুন। (হিলয়াতুল আউলিয়া, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ২৬৯)

৩.উসামা ইবনে জায়েদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম—হে  রাসুল!  আপনি শাবান মাসে যতটা রোজা রাখেন, অন্য কোনো মাসে কিন্তু আপনাকে রোজা রাখতে দেখা যায় নি? নবী (সা.) বলেছেন, এটি এমন একটি মাস যা রজব ও রমজানের মাঝামাঝি আর লোকেরা এই মাসকে অবহেলা করে ও উদাসীন থাকে। অথচ এই মাসে (পুরো বছরের) আমল আল্লাহ তাআলার সামনে পেশ করা হয়, আমি চাই আমার আমল রোজা অবস্থায় উঠুক। (নাসায়ি, হাদিস : ২৩৫৭)

৪.উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা (রা.) বর্ণনা করেন, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এভাবে টানা দুই মাস রোজা রাখতে দেখেননি।কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসে এক টানা রোজা রাখতেন, যাতে তিনি রমজান মাসে রোজা রাখতে পারেন।

(নাসায়ি, হাদিস : ২১৭৫)

সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles