সর্বশেষ

37.6 C
Rajshahi
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

রমজানে চিনি খেজুরের সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তা

টপ নিউজ ডেস্ক: পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে সরকার সম্প্রতি চিনি ও খেজুরের আমদানি শুল্ক কমালেও বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি। রমযানের খেজুর এখন বিলাসী পণ্যের দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, রোজায় চিনিসহ খেজুর সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এর ফলে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

আজ বিকেলে দেশে উৎপাদিত লাল চিনির কেজিতে খুচরা পর্যায়ে দাম সর্বোচ্চ ২৫ টাকা দরে বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন। তবে এই ঘোষণার  প্রায় ৬ ঘণ্টা পর শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বর্ধিত এ দাম প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে আগের মতোই দেশি খোলা চিনির কেজি ১৩২ আর প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১৪০ টাকায় মিলবে।

গত অর্থবছরে দেশি চিনি উৎপাদন হয়েছে ২১ হাজার টনের মতো। এটি দেশের চাহিদায় তুলনায় অতি নগণ্য। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা রয়েছে প্রায় ২০ লাখ টন। এর পুরোটাই আমদানি করতে হয়।

পবিত্ রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। সভায় নিত্যপণ্যের শীর্ষ পর্যায়ের পাইকারি ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজিত সভায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে  নজর থাকবে সরকারের। যৌক্তিক দামে ভোক্তা যাতে পণ্য কিনতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কোনো আমদানি ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান পণ্য সরবরাহ না করলে সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট মিলে অভিযান চালানো হবে।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, অন্তত রমজানে সব পণ্যের যৌক্তিক দাম রাখেন। ১৮০ টাকার খেজুর যেন ৩৮০ টাকা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাইকারি পর্যায়েও খেজুরের দর লিখে রাখতে হবে।

সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles