সর্বশেষ

43.9 C
Rajshahi
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৪ জনকে পিটিয়ে হত্যা সংঘর্ষের ঘটনায় নিরীহ কৃষকদের হয়রানীর অভিযোগ

টপ নিউজ ডেস্কঃ গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ীতে জমিজমা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নিরিহ কৃষকদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজশাহী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওইতিঝ্যবাহি হাজী মানিক উল্লাহ ওয়াকফ এষ্টেট ইসিনং ১৩২৫ এর মোতয়ালী আশিকুল ইসলাম চাঁনের বড় মেয়ে মোসাঃ সানজিদা আক্তার এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন ,আমার পিতা বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী কোষাধ্যক্ষ। তিনি রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলায় কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে, কিছুদিন আগে ভ’মিদস্যু চক্র আমাদের এই এষ্টেট ইসিনং ১৩২৫,হাজী মানিক উল্লাহ ১৯৩৪ সালের ১০ মার্চ তারিখে ৫৭৬নং দলিলে সরকারীভাবে ১৩৩ একর জমি ওয়াকফ করেন। হাজী মানিক উল্লাহ ওয়াকফ এষ্টেট এর মৌজা মারকান্দা জে এল নং ৮৫,খতিয়ান নং ২৮২,দাগ নং ৪৭ ও জমির পরিমান ৪.৬০ একর।

তিনি আরো বলেন হাজী মানিক উল্লাহ ওয়াকফ এষ্টেটের কোন জমি বিক্রয় হয় নাই কারন যে জমির ওপর গন্ডগোল হয়েছে সেই জমি রাজশাহী সদর রেজিষ্ট্রার অফিসে ৭২২৩ নং কোন দলিল রেজিস্ট্রি হয় নাই। সেটি সম্পুর্ন জাল দলিল। এই এষ্টেট থেকে ১০০০ এর অধিক কৃষক পরিবার জীবন জীবিকা নির্ভর করে। এই ভুমিদস্যু চক্রের মূলহোতা হলেন এজাজুল হক মানু। তার ছোট ভাই তৌহিদ, ১২ হাটির মানিক, ইয়াজপুরের লাভলু,মনির,কটা, স্বপন,মিজানুর,আতাবুর ও মঞ্জুর। এদের ইন্ধনে ভাড়া করা সন্ত্রাসী এষ্টেটের জমিতে কৃষকদের ওপর হামলা করে। এজাজু হক মানু ও তার ছোট ভাই তৌহিদের কথায় পুলিশের সহযোগিতায় দালালচক্রের গ্রুপ গভীর রাতে পাকড়ি ওয়াকফ এষ্টেটের বাড়িতে জিনিসপত্র ভাঙ্গচুর করে ও মুশরাপাড়া গ্রামের জালাল মেম্বার ও আলাউদ্দিনের বাসায় গিয়ে ভাঙ্গচুর করে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

তিনি দাবী করেন ,তাদের অত্যাচারে সাধারণ কৃষক পরিবারের লোকজন ভয়ে আতংকিত। আমি এইঘটনার জন্য বিভাগীয় কমিশনার ,জেলাপ্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ ও তদন্তের দাবী জানাচ্ছি। কারণ এই হত্যাকে পুজি করে সাধারণ নিরীহ কৃষকদের হয়রানী করা হচ্ছে ও তাদের সন্তানরা যারা আছেন তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করছেন,তাদেরকেও ছাড় দেয়নি । তাদের উপর অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা দাযের করা হয়েছে।

এই সংবাদ সম্মেলনে আশিকুল ইসলাম চাঁনের স্ত্রী মাহমুদা ইসলাম ও বোন ডালিয়া উপস্থিত ছিলেন। এদিকে পুলিশ, হতাহত ব্যাক্তিদের পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে,গত বছর পাকড়ি ইউনিয়নের ইয়াজপুর গ্রামে ১৪ বিঘা জমি ক্রয় করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী সেলিম রেজার খালাতো ভাই সোহেল রানা। এই জমি ওয়াকফ সূত্রে পাওয়ার দাবী করে আসছিলেন বরেন্দ্র বহুমখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মচারী আশিক চাঁদ।

এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল সেলিম রেজার। সোহেল রানা এ বছর জমির দখল নেয়ার জন্য চাষ করেন। জমি তৈরী হওয়ার পর গত সোমবার সকালে শ্রমিক নিয়ে ধানের চারা রোপণ করতে যান তিনি। এ সময় বিবদমান দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে মোট চারজন নিহত হয়। এ হামলায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী সেলিম রেজা নেতৃত্ব দেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles