সর্বশেষ

44.1 C
Rajshahi
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

রাজশাহী-১  আসনে নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আবারও অপপ্রচার

টপ নিউজ ডেস্ক: রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী, বিলাস ও প্রচার বিমূখ, সৎ রাজনৈতিকের প্রতিকৃতি, কর্মী-

জনবান্ধব, আদর্শিক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশস্ত নেতৃত্ব আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে আবারো অপপ্রচার শুরু করেছে চেনামুখের সেই একই গোষ্ঠী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই এরা বলে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফারুক চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এটা শতভাগ নিশ্চিত। কিন্তু সব-জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো নৌকার টিকিট পান ফারুক চৌধুরী।

সেই গোষ্ঠী  এবার ফারুক চৌধুরীর  বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপপ্রচার শুরু করেছেন। কিন্তু এসব অভিযোগ ফারুক চৌধুরীর নামের সঙ্গে মানায় না। কারণ ফারুক চৌধুরী ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। রাজনীতিতে আশার অনেক আগেই তিনি সি.আই.পি মর্যাদা অর্জন করেছেন। হয়েছেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও রাজশাহীর সর্বোচ্চ স্বচ্ছ আয়করদাতা। তিন বারের সংসদ সদস্য ও একবারের প্রতিমন্ত্রী। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত  সভাপতি ও  সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। এসব তথ্য কি বলে তিনি হঠাৎ করেই সম্পদের মালিক হয়েছেন ? তাহলে যারা দু’দশক আগেও বাইসাইকেল নিয়ে রাজনীতি করেছেন এবং কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যে ছাড়াই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের হাতে কি আলাদীনের চেরাগ রয়েছে। তাদের আয়ের উৎস কি ? এদের নিয়ে তো কোনো খবর হচ্ছে না। দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে এসব অপপ্রচার ছড়িয়ে দলের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে কার স্বার্থে। যারা করছে এরা কারা ? এদের উদ্দেশ্যে কি ? এছাড়াও ফারুক চৌধুরীর বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদানের ঘটনাকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, দেশে সাধারণ নির্বাচনের মৌসুম আসলেই ফারুক চৌধুরীর  বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো নিয়মে পরিণত হয়ে উঠেছে। কিন্ত্ত কেনো বার বার তার বিরুদ্ধে  মিথ্যা-ভিত্তিহীন-বানোয়াট এবং তার নামের সঙ্গে মানায় না এমন অভিযোগের পাহাড় দাঁড় করানো হচ্ছে এসব অভিযোগের হেতু কি ? আবার আমজনতা নয় চেনা মূখের চিহ্নিত একটি গোষ্ঠি বার বার এসব অভিযোগ উঙ্খাপন করছে। এমপি ফারুক চৌধূরী প্রায় দুই দশক যাবত বলিষ্ঠ  নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি-জামাতের দুর্গে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার দীর্ঘ এই  রাজনৈতিক জীবনে তার বিরুদ্ধে একজন সাধারণ মানুষেরও কোনো অবিযোগ নাই। অথচ নির্বাচনের মৌসুম আসলেই

চিহ্নিত একটি বির্তকিত গোষ্ঠী  কোনো সুনিদ্রিস্ট তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই তার বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ উঙ্খাপন ও প্রোপাগান্ডা শুরু করে। তাহলে দুই দশক আওয়ামী লীগের এসব কথিত শুভাকাঙ্খিরা কোথায় ছিল বা তারা নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগকে কি এমন উপহার দিল। এই প্রশ্নের উত্তর কি তারা দিতে পারবেন। বিএনপি-জামাতের চোখ রাঙানিতে তারা তো কখানো প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচিই দিতে পারেনি। প্রশ্ন হলো এমপি ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগকে যদি  নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হন তাহলে তো তৃণমূল থেকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আশার কথা, সেটা না হয়ে বার বার

একই গোষ্ঠির অভিযোগ তাহলে কি আওয়ামী লীগ শুধু এরাই করে এরাই আওয়ামী লীগের ভাল চাই, আর কেউ নেই। যদি সেটা হয় তাহলে তো তারাই আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করে বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেন।আবার রাজশাহী বিভাগীয় একটি জেলা শহর এবং জামায়াত-বিএনপির দুর্গ  হিসেবে পরিচিত এখানে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিতে হলে নেতার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা-আর্থিক স্বচ্ছলতা, সাহসীকতা-কর্মীবাহিনী, পারিবারিক ঐতিহ্য-সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদি গুনের অধিকারী হতে হবে, যা কেবলমাত্র ফারুক চৌধূরীর রয়েছে। তিনি ব্যতিত তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী গোষ্ঠির

কারো মধ্যে কি এসব গুন রয়েছে বা ফারুক চৌধূরীকে সরিয়ে তার শূণ্য স্থান পুরুণের মতো সক্ষমতা কি কারো মধ্যে রয়েছে, নিশ্চিত সেটা নাই তাহলে কেনো তারা বার বার তার বিরুদ্ধে এসব গায়েবী অভিযোগ উঙ্খাপন করছে তাদের

উদ্দেশ্যে কি ?

রাজশাহী জামায়াত-বিএনপির দুর্গ তছনছ করে আওয়ামী লীগের বসতঘর

ফারুক চৌধূরীর নেতৃত্বে হয়েছে। যারা তার বিরুদ্ধে নানা ধরণের গায়েবী অভিযোগ উঙ্খাপন করছে আওয়ামী লীগে তাদের কি কোনো অবদান রয়েছে কেউ কি বলতে পারবে ?

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণের ভাষ্য, এমপি  ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই যত অভিযোগ উঙ্খাপন হয়েছে সবগুলোই একই মুখের চিহ্নিত গোষ্ঠির। এর মধ্যে দিয়ে এটাই প্রমাণ হয় এমপি ফারুকের পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজক্ষুন্ন ও সমাজে তাকে হেয়ওপ্রতিপন্ন করতেই তার

বিরুদ্ধে এসব গায়েবী অভিযোগ। এদিকে জনপদের মানুষ দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যারা তার মনোনিত

স্থানীয়রা বলছে, যারা এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঙ্খাপন করেছেন তাদের মধ্যে নব্য কোটিপতি অনেকের বিরুদ্ধে রাজশাহী শহরে খাস জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ, টেন্ডারবাজী, দলীয় কর্মসূচির নামে চাঁদাবাজী, বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক,হাট- ঘাট-মাদক স্পট ও বালুমহাল ইত্যাদি থেকে চাঁদাবাজির কথা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার বা আলোচনা রয়েছে।রাজশাহী-১ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles