সর্বশেষ

44.1 C
Rajshahi
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

সংসদে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

টপ নিউজ ডেক্স : মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার দেশের গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর উপহার দিচ্ছে । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে সংসদে আবেগতাড়িত হয়ে কেঁদেই ফেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব ঘর উপহার দেওয়াকে তার জীবনে সব থেকে আনন্দের দিন বলেও জানান তিনি।

বুধবার (৩০ মার্চ) জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। সম্পূরক প্রশ্নে ফখরুল ইমাম প্রধানমন্ত্রীকে তার আনন্দের স্মৃতি বর্ণনা করতে অনুরোধ করেছিলেন।

স্বাধীনতার পরে  থেকে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গুচ্ছগ্রাম তৈরির কাজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার (বঙ্গবন্ধুর) স্বপ্ন ও লক্ষ্য ছিল দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন, ভূমিহীন ও ঠিকানাবিহীন থাকবে না।

জাতির পিতার লক্ষ্য পূরণ করাই আমার একমাত্র কাজ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার লক্ষ্য মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া। ১৯৯৬ সালে থেকে সরকারে আসার পর  ভূমিহীন মানুষদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছি ও পুনর্বাসন করে যাচ্ছি। আমরা শুধুমাত্র ঘর দিয়ে বসে থাকছি না, ঘর দেওয়ার পরে তাদের অর্থও দিচ্ছি,  আবার প্রশিক্ষণ দিয়ে আয়ের পথও করে দিচ্ছি। ১৫ আগস্টের পরে যে দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়েছে আমার জীবনে, সেই দুঃখের মধ্য দিয়েও, কষ্টের বোঝা নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম বাবার স্বপ্ন পূরণে।

ঘর উপহার দেওয়ার পরেও নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এটা খুব ভালোভাবে মনিটরিং করে। কার্যালয়ের সচিব ও কর্মকর্তারা প্রায়ই যাচ্ছেন, তারা কেমন আছেন দেখছেন। দেখে আসার পরে আমাকে ছবি পাঠান। দেখলাম ঘর পাওয়ার পরে মানুষের যে আনন্দের  অনুভূতি। তারা ঠিকানা পেয়েছে, সেই আনন্দেই তাদের কান্না, হাসি, বেদনা উপলব্ধি করলাম। সেদিন তো আমিও…। একটা মানুষ, একটা পরিবার- যারা একটা ঠিকানা পেয়েছেন। ঘর পাওয়ার পরে তাদের জীবনটাই পাল্টে গেছে। অভাব, ও দারিদ্র্য নেই। নিজের জীবনটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।

তিনি বলেন, আমার জীবনে সব থেকে বড় আনন্দের একটা দিন। একজন মানুষ, যার কিছু ছিল না, তাকে অন্তত একটা ঘর দিয়ে তার মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। এর থেকে বড় আনন্দের আর কিছু হতে পারে না। সেদিন আনন্দে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।সে দিন আমি অঝোরে কেঁদেছিলাম। কারণ এটাই আমার বাবার স্বপ্ন ছিল। এসময়টায়  প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।দু  চোখ জলে ভিজে য়ায়।  দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদের আলোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদ গরম করা হলো, সেজন্যই আমি যখনই প্রশ্নগুলো (তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন) পেলাম, এটাকে এক নম্বরে নিয়ে আসলাম। ভাবলাম যে আজ এর  উত্তর দেবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী সব জিনিসেরই দাম বেড়েছে। তার প্রভাব আমাদের উপরও পড়েছে, এটাই স্বাভাবিক। কিছু লোক তো আছেই যারা সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করে। সেটা যাতে নিতে না পারে, তার জন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থাও নিয়েছি।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি ঘর উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এবারে তৃতীয় পর্যায়েও ৬৫ হাজার ৪৭৪টি ঘর দেওয়া হবে।

সম্পাদক : নাসরিন ইসলাম

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles