টপ নিউজ ডেস্ক: জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিক পাড়া এলাকায় মোয়াজ্জেম হোসেন নামে শিশু হত্যা মামলায় আদালত ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে এ রায় দেন জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল পিপি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নবম শ্রেণির স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন (১৬) হত্যা মামলার ২১ বছর পর রায় ঘোষণার সময় এ আদেশ দেন বিচারক আদলতে ৫ জন উপস্থিত ও ৬ জন আসামির অনুপস্থিতিতে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বেদারুল ইসলাম ওরফে বেদীন, সরোয়ার রওশন ওরফে সুমন, মনোয়ার হোসেন ওরফে মনছুর, মশিউর রহমান এরশাদ ওরফে বাবু, নজরুল ইসলাম, রানা, টুটুল, শাহী, রহিম, সুজন ও ডাবলু। তাদের মধ্যে আজ সরোয়ার রওশন, মনোয়ার হোসেন, মশিউর রহমান এরশাদ, রানা ও শাহী এই আদালতে উপস্থিত ছিলেন ৫ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য ৬ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকেলে জয়পুরহাট শহরের প্রামানিক পাড়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন বাড়ি থেকে বের হন বেড়ানোর কথা বলে। পরে রাত ৯ টা পর্যন্ত বাড়িতে না আসায় তাকে খোঁজাখুজি করে পরিবারের লোকজন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা জানতে পারে তার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন জয়পুরহাট থানাধীন জামালগঞ্জ রোডের পাঁকা রাস্তা থেকে দুইশ ফিট দূরে পড়ে আছে জখম অবস্থায়।
সেখান থেকে স্থানীয়রা ও জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশ তাকে ভর্তি করেন জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার সময় মারা যান মোয়াজ্জেম। পরে নিহতের বাবা জানতে পারেন তার ছেলে মোয়াজ্জেমকে শহরের চিত্রা সিনেমা হলের পাশে থেকে ধরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে জখম করে ফেলে দেয় আম গাছের নিচে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন ২০০২ সালের ২৯ জুন। পরবর্তীতে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মাহবুব আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর। আজ বুধবার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক এ রায় দেন।
সম্পাদনায়: শাহনাজ সাফা