টপ নিউজ ডেস্ক: যারা অতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম থাকেন, সবার জন্যই ক্ষতিকর। এতে করে ছোটদের মধ্যে বাড়ছে চোখের সমস্যা। বড়দেরও জীবনযাত্রায়েএসেছে ,নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার কারণে পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। আবার অনেকে চেষ্টা করছেন স্ক্রিন টাইম কমাতে কিন্তু পারছেন না। সেক্ষেত্রে থেরাপিস্টদের কিছু পরামর্শ মাথায় রাখতে পারেন।
১. মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। জীবনধারার যে কোন পরিবর্তন আনতে এটাই হল চাবিকাঠি। অনেকেরই আছেন যারা রাত জেগে সিরিজ দেখা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করা অনেকটা নেশার মতো। অনেকে একাকীত্ব কাটাতেও অনেকে রাত জেগে সময় কাটান সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে। সেক্ষেত্রে নিজেই নিজেকে কাছেই নিজে প্রশ্ন করুন- যা করছেন সেটা আপনার শরীরের জন্য কি ঠিক ?
২. স্মার্টফোনের গ্রে-স্কেল সেটিংস পরিবর্তন করে ফেলুন। থেরাপিস্টরা মনে করেন ফোনের রঙিন আলো অনেক সময় অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে।
৩. স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন, দিনের নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ করে রাখুন। এতে করে মেসেজ এলেই ফোন দেখার অভ্যাসটা কমে যাবে।
৪. অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে ,পড়ার ফাঁকে, এমনকি ঘুমাতে যাওয়ার আগেও অনেকের ফোন দেখার অভ্যাস আছে। নিজের সীমানা নিজেই ঠিক করুন। অল্প সময়ের জন্য বিরতিতে ও চেষ্টা করুন কিছু এক্সারসাইজ করতে। এতে অনেক উপকার পাবেন।
৫. ঘুমাতে যাওয়ার সময় নিজের কাছ থেকে মোবাইল ওঅন্যান্য গ্যাজেট হতে দূরে রাখুন। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে মোবাইলে চোখ রাখবেন না। সে সময়টা গভীর ধ্যান বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে করে মানসিকভাবে ভালো থাকবেন।
৬. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ও স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলুন। এই সময়টা বই পড়া, গান শোনা বা কোনও সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখুন।
সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম