নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শনিবার (১৬ জুলাই) নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ের নিজ কার্যালয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ দুজনের কথোপকথনের এক অডিও রেকর্ড প্রকাশ করেন। এদের মধ্যে একজন গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা এবং অন্যজন রাজশাহীর এক আওয়ামী লীগ নেতা বলে দাবী করেছেন আসাদুজ্জামান আসাদ।
গত ১৩ জুলাই রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ মো. সেলিম রেজাকে মারধরের অভিযোগে একাদিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রতিবাদে অধ্যক্ষ মো. সেলিম রেজাসহ সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলন করেন শুক্রবার (১৪ জুলাই)। সেখানে অধ্যক্ষ মো. সেলিম রেজা মারধরের অভিযোগকে ভূয়া ও মিথ্যা বলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কথা বলেন।
তারই প্রতিবাদে আজ (শনিবার) সংবাদ সম্মেলন করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি একটি ফোনালাপ শুনিয়ে তিনি বলেন ফোনালাপে অধ্যক্ষ নিজেই আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে মারধরের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এমপির হাতে মারধরের শিকার হয়ে অধ্যক্ষ সেলিম রেজা তাঁকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এ সময় তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে অধ্যক্ষের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড বাজিয়ে শোনান।’ কার সঙ্গে এই কথা হচ্ছে জানতে চাইলে আসাদ বলেন, ‘সেটা এখন বলছি না।’
এই সংবাদ সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের বলেন, জনাব ফারুক চৌধুরী একজন শহীদ পরিবারের সন্তান। তার বিরুদ্ধে জনাব আসাদের এমন মিথ্যা অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখ ও ন্যাক্কারজনক। তিনি আরো বলেন, বর্তমান যুগে যে কারো ভয়েস ক্লোনিং করা যায়। এমতাবস্থায় এ ধরণের ফোনালাপ কতটুকু গ্রহণযোগ্য সেটা সাধারণ মানুষই ঠিক করবে।