টপ নিউজ ডেস্ক : বাঙিালির মাছ ছাড়া চলেই না। মাছ ভাজা, ঝোল, ঝাল, ভাপা-সবভাবেই খাওয়া হয়। মাছের মধ্যে রয়েছে একাধিক পুষ্টিকর উপাদান। ছোট থেকে বড় সবারই তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছ রাখা উচিত।
মাছ হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল স্বাভাবিক রাখে। মাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। মাছ কোষ মেরামত, পেশি তৈরি করতেও ভালো রাখতে সাহায্য করে ।
সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে এবং রেটিনার কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে সার্বিক ভাবে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। এ ছাড়া, ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস পায়।
মাছের সমস্যা একটাই মাছ ভাজতে অনেকটা তেল লাগে। সেক্ষেত্রে মাছ ভাজার একটা কৌশল জেনে রাখতে পারেন। এতে মাছ ভাজলে খুব সামান্য তেল লাগতে পারে।
প্রস্তুত প্রণালী:
১.প্রথমে মাছ ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তাতে পাতিলেবুর রস মাখিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ২.এবার হলুদ, মরিচের গুঁড়া, গোলমরিচ গুঁড়া, গরম মসলা গুঁড়া, অল্প আদা-রসুন বাটা দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। বাজারে যে ন্যুডলস মসলা পাওয়া যায় তা অল্প দিতে হবে। এক চামচ সরিষার তেল, সামান্য চালের গুঁড়া মাখিয়ে নিন মাছে।
৩.মাছ ম্যারিনেট করে ১৫ মিনিট রাখুন। ভাজার ঠিক আগেই লবণ মাখিয়ে নিতে হবে। ননস্টিক ফ্রাইং প্যান খুব ভালো করে গরম করে দু ফোঁটা সরিষার তেল বুলিয়ে নিন তাতে। এবার ম্যারিনেট করা মাছের পিস দিয়ে সামান্য পানির ছিটে দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
এতে মাছ ভালো ভাজা হবে আর প্যানেও আটকে যাবে না। ঢাকা থাকায় তা সুন্দর সেদ্ধ হয়ে যাবে। সবশেষে উপর থেকে একটু তেল ব্রাশ করে নিন। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা এভাবে মাছ ভেজে নিতে পারেন। এমনকী যারা ডায়েট করছেন তারাও এই ভাবে মাছ খেতে পারেন। এতে তেল তো কম লাগবেই সেই সঙ্গে মাছ ভাজা অনেক বেশি মুচমুচে হবে।
সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম