সর্বশেষ

39.3 C
Rajshahi
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

আজ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী

টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ রোববার (২০ আগস্ট) বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী। পাকিস্তানের থাট্টায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে তিনি শাহাদত বরণ করেন।

একাত্তর সালের ৯ মে মতিউর রহমান দেশ থেকে করাচিতে ফিরে কর্মস্থলে যোগ দেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ২০ আগস্ট শিক্ষানবিশ পাইলটকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করে একটি পাকিস্তানি জঙ্গি বিমান দখলে নিয়ে দেশে ফেরার চেষ্টা করেন তিনি।

পাকিস্তানি শিক্ষানবিশ পাইলট রাশেদ প্রায় ভারতের সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া অবস্থায় জ্ঞান ফিরে পাওয়ায় বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় মতিউরের ধস্তাধস্তি চলতে থাকে তার সঙ্গে এবং এক পর্যায়ে রাশেদ ইজেক্ট সুইচ চাপলে মতিউর বিমান থেকে ছিটকে পড়েন। কম উচ্চতায় উড্ডয়ন করার ফলে ভারতীয় সামন্ত থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে একসময় রাশেদসহ বিমানটি থাট্টা এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা মাইল দূরে মতিউর রহমানের মরদেহ পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাকে দাফন করা হয় করাচির মাসরুর বিমানঘাঁটির চতুর্থ শ্রেণির কবরস্থানে। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবরের সামনে তখন লেখা ছিল- ‘ইধার সো রাহা হ্যায় এক গাদ্দার।’

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের অসীম সাহসিকতা, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মূল্যায়নস্বরূপ তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে। তবে  ২০০৬ সালের ২৪ জুন দীর্ঘ ৩৫ বছর পর স্বাধীন বাংলার মাটিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পুনরায় তার মরদেহ সমাহিত করা হয় ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিক্ষেত্রে।

১৯৪১ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকার আগাসাদেক রোডের পৈতৃক বাড়িতে দেশের এই মহান সন্তানের জন্ম। তিনি ১৯৬১ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। রিসালপুর পিএএফ কলেজ থেকে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন ১৯৬৩ সালে। মতিউর রহমান ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ফ্লাইং অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৬৭ সালে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা

Related Articles

2 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles