টপ নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধের প্রথম শিকার হয় মানবতা। যুদ্ধ গুঁড়িয়ে দেয় সমস্ত মানবিক মূল্যবোধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা নগরীতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের ফলে যে ভয়াল ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়, তা আমাদের বারে বারে সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
৬ আগস্ট হিরোশিমায় ‘লিটল বয়, নামে এই বোমা বর্ষণের তিনদিন পর জাপানেরই আরেক শহর নাগাসাকিতে ৯ আগস্ট আরেকদফা পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়। সেই শহরেও একই রকম ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি হয়। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
চোখের পলকে এই হামলায় হিরোসিমা ও নাগাসাকি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। জাপান, জার্মানি ও ইতালির অক্ষশক্তি হামলায় দিশেহারা হয়ে পরাজয় বরণ করে এবং মিত্রশক্তির কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে তারা। এভাবেই সমাপ্তি ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের।
জাপানের আসাহি শিমবুনের এক হিসাবে বলা হয়েছে, এই বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট মারাত্মক শারীরিক সমস্যার কারণে দুই শহরে প্রায় চার লাখের মতো মানুষ মারা যায়। যাদের অধিকাংশই ছিলেন সাধারণ ও বেসামরিক নাগরিক। নিরীহ, ঘুমন্ত অসহায় শিশু-নারী-পুরুষ, বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা ছাড়াও এই হামলা কয়েক লাখ মানুষকে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করতে বাধ্য করে।
দীর্ঘ ৭৮ বছর কেটে গেলেও সেখানে এখনও জন্ম নিচ্ছে বিকলাঙ্গ শিশু, ক্যানসারসহ নানা দুরারোগ্য রোগেও ভুগছে হাজারো মানুষ। মানবতার ইতিহাসে কলঙ্কময় এই অধ্যায়ের কথা আজও ভোলেনি জাপানবাসী, ভোলেনি বিশ্ববাসীও।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ হিরোশিমা দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনও দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সম্পাদনায়: হাবিবা সুলতানা
[…] আজ ৬ আগস্ট, হিরোশিমা দিবস […]