সর্বশেষ

27.4 C
Rajshahi
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ইউরোপের ৩ দেশের প্রধানমন্ত্রী

টপ নিউজ ডেস্কঃ ইউরোপের তিনটি দেশের প্রধানমন্ত্রী রুশ বাহিনীর হামলার মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গেলেন । গতকাল মঙ্গলবার ১৬ মার্চ তাঁরা পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে চড়ে কিয়েভে যান। যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম অন্য কোনো দেশের সরকার প্রধান হিসেবে তাঁরা রাজধানী কিয়েভে গেলেন।ইউরোপের তিনটি দেশের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবে বলে তারা জানিয়েছে।


এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ বাহিনীর হামলা বাড়ায়েছে এই কারণে গতকাল রাত ৮টা থেকে ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে।ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা যুদ্ধ বন্ধের জন্য গতকাল সমঝোতা আলোচনায় বসেছেন এমনটাই জানিয়েছে।


গতকাল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ন্যাটো জোটের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং ইউক্রেনে নো–ফ্লাই জোন ঘোষণা না করার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই সামরিক জোটের কঠোর সমালোচনা করেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কি আরও বলেন, ন্যাটো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জোট কিন্তু এই জোটের কিছু সদস্য রাশিয়ার বশীভূত হয়ে আছে।


এই পরিস্থিতিতেই ন্যাটো জোটের তিন সদস্য দেশের প্রধানমন্ত্রীরা গতকাল কিয়েভে যান। প্রধানমন্ত্রীরা হলেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি, স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানেজ জানসা ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা । এই তিন দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও সদস্য।


চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে কিয়েভ সফর নিয়ে লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নের অকুণ্ঠ সমর্থন জানাতেই তাঁরা এই সফর করছেন।


যুদ্ধের মধ্যে এই তিন নেতাদের কিয়েভ সফরকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছিল। ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ বলছে, তাঁদের নিরাপত্তায় জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ সহযোগী মিখাল বরজিক জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তিন নেতা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন।


ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা গত সোমবার ভার্চ্যুয়াল মিটিং এ যুক্ত হয়ে চতুর্থ দফা সমঝোতা আলোচনা শুরু করেছিলেন কিন্তু কারিগরি ত্রুটির কারণে আলোচনাটি বন্ধ হয়ে যায়।ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা গতকাল আবার আলোচনায় বসেন । এই বৈঠক চলার মধ্যেই মস্কোতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে কথা বলার সময় এখনো আসেনি। তিনি আরও বলেন, শান্তি আলোচনার কাজটি খুবই কঠিন এবং বর্তমান অবস্থার ভিত্তিতে বলা যায় যে এই আলোচনা ইতিবাচকভাবেই অব্যাহত রয়েছে।


অপর দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন উপদেষ্টা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এই আলোচনা সফল না হলে রাশিয়া নতুন করে আবার বড় ধরনের হামলা করতে পারে।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদান করার অনেক দিনের ইচ্ছা ইউক্রেনের । কিন্তু রাশিয়ার শঙ্কা, ইউক্রেন যদি ওই জোটে যোগ দেয়, তাহলে তাদের(রাশিয়া) নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। তাই যেভাবেই হোক ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান ঠেকাতে চায় ক্রেমলিন।


গতকাল রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। মস্কোতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির-আদোল্লাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেছেন, এই শান্তি আলোচনার উদ্দেশ্যে হচ্ছে ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে নিশ্চিত করা। মস্কো সেটা দেখতে চায়।

সম্পাদনায়: মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles