নাপিত রমেশ বাবুর কোটিপতি হওয়ার এক অবিশ্বাস্য গল্প এটি। চুল কেটেই কোটিপতি বনে গেলেন ভারতে বেঙ্গালুরুর এ নাপিত।
বর্তমানে তিনি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। রোজ সেলুনে আসেন নিজের বিলাসবহুল রোলস রয়েস গাড়ি চালিয়ে। তবে একজন নাপিত থেকে কোটিপতি হয়ে ওঠা তার জন্য কতটা সহজ ছিল? সেই গল্পই জানিয়েছেন তিন ভারতীয় এক গণমাধ্যমে।
রমেশের এই বিরাট পরিবর্তন এবং সাফল্যের পেছনে আছে কঠোর পরিশ্রম। বাড়ি বাড়ি খবরের কাগজ বিলি করতেন টাকা রোজগারের জন্য। তার বাবার স্মৃতি জুড়ে ছিল ছোট্ট একটি সেলুন। রমেশের কিশোর বয়সে তার মা সেলুনটি দিনে মাত্র পাঁচ রুপির বিনিময়ে ভাড়া দিয়ে ও মানুষের বাসায় কাজ করে সংসার চালাতেন।
বাবার রেখে যাওয়া সেলুনটি দিয়ে নিজেদের ভাগ্যবদল করবে। ১৯৯৪ সালের দিকে রমেশ এ সিদ্ধান্ত নিলেন।রমেশের হাতে শিগগিরই সেটি তরুণদের পছন্দের হেয়ার স্টাইলিং সেলুন জোন হয়ে ওঠে।
ভাগ্যের চাকা ঘুরালেন কঠোর পরিশ্রমে।সেই জেরে তিন বছর পর নিজের কষ্টের উপার্জনে ‘মারুতি ওমনি’ গাড়ির মালিক হয়ে যান রমেশ। এরপর নিজের কেনা গাড়িটি ভাড়া দিতে শুরু করেন। এভাবেই শুরু হয় তার সাফল্যের গল্প।
সেলুনের ব্যবসা থেকে লাভের পুরো টাকাই বিনিয়োগ করেন গাড়ির ব্যবসায়। ৯০-এর দশক শেষে তিনি ট্যাক্সি ব্যবসায় সফল হন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দেন ‘রমেশ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’।ভারতবর্ষের কোটিপতি একজন নাপিত রমেশ বাবু ।
তার কোটি টাকার সম্পত্তির পাশাপাশি আছে ৩৫০টি গাড়ি। আমদানি করা বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে রয়েছে রোলস রয়েস সিলভার গোস্ট, মার্সিডিজ সি, মার্সিডিজ ই, মার্সিডিজ এস, বিএমডব্লিউ ৫, বিএমডব্লিউ ৬, বিএমডব্লিউ ৭ সিরিজের গাড়ি।বর্তমানে রমেশ বাবু কোটি টাকা আয় করলেও তিনি তার বাবার সেলুনের কাজকে সম্মান করেন আর তাই তিনি রোজ দু-ঘণ্টা ১৫০ টাকায় সেলুনে চুল কাটেন।
সম্পাদনায়:নাসরিন ইসলাম