টপ নিউজ ডেস্কঃ শ্রীলংকার বিক্ষোভকারীরা জরুরী অবস্থা ভেঙ্গে, পুলিশের জলকামান, কাঁদুনে গ্যাস উপেক্ষা করেই প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায় এবং ‘ফিরে যাও রনিল, ফিরে যাও গোটা’ শ্লোগান দিচ্ছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ জুলাই) প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে রাজাপাকসে একটি অঞ্জাত স্থান থেকে সামরিক বিমানে করে স্ত্রী ও দুই দেহরক্ষীকে নিয়ে পালিয়ে প্রতিবেশি মালদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছেন। পালানোর সময় প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের কাছে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়ে যান তিনি। দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনের এই ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুদ্ধ জনগণ কারফিউ উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে এবং রনিল বিক্রমাসিংহেরও পদত্যাগে দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
টেলিভিশন প্রচারিত এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনঃস্থাপনে তিনি সেনাবাহিনা ও পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল পর্যন্ত সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে সেই কারফিউ উপেক্ষা করেই বিক্ষোভ কজরছে দেশটির জনগণ।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে দেশ ছেড়ে পালানোর পর বুধবার (১৩ জুলাই) সর্বদলীয় বৈঠকে শ্রীলঙ্কার বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহকে পদত্যাগ করে স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপের কাছে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা