টপ নিউজ ডেস্কঃ ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য অনুষ্ঠিত হবে না কোনো সাধারণ ভোট গ্রহণ। এর পরিবর্তে কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য নির্বাচন করবেন তাদের উত্তরসূরী। এবার তারাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট দেবেন যারা কনজারভেটিভ পার্টির চাঁদা দানকারী সদস্য।
মূলত, ব্রিটেনে যখন মেয়াদকালের মধ্যে কোনো প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণা করেন তখন আয়োজন করা হয় না কোনো সাধারণ নির্বাচনের। এর পরিবর্তে একজন নতুন নেতা বেছে নেন ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা। তাই যখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা করলেন পদত্যাগ করার কথা তখন নিজেদের উত্তরসূরি বেছে নেয়া কনজারভেটিভ পার্টি এমপি এবং দলের সদস্যদের পরবর্তী পদক্ষেপ।
এই বাছাই প্রক্রিয়ার প্রথম রাউন্ডে পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা শুধুমাত্র ভোট দেন। কয়েক দফায় এই ভোটের শেষে বিজয়ী হন দু’জন প্রার্থী: এই ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং চ্যান্সেলর অফ এক্সচেকার ঋষি সুনাক।
গত অর্ধ শতাব্দী ধরে ব্রিটেনের প্রায় অর্ধেক নেতা সাধারণ জনগণের ভোটের মাধ্যমে নয় নির্বাচিত হয়েছেন তাদের রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে। এর আংশিক কারণ হচ্ছে, দুটি সাধারণ নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে জনপ্রিয়তা কমে গেলে ব্রিটিশ রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সরকার প্রধান তার নিজের দলের মাধ্যমে অপসারণের ঝুঁকিতে পড়েন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির সম্পূর্ণ উল্টো এটি।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা