টপ নিউজ ডেস্ক: ধানীতে মাইকে ডেকে ডিমের বাজারে স্বস্তি ফেরাতে ডিম বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে লাল ডিম ১১ টাকা ৫০ পয়সা এবং সাদা ডিম ১১ টাকা মূল্যে ক্রেতারা সরাসরি সংগ্রহ করতে পারছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিন মিনি ট্রাকে ডিম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেট, হাতিরপুল বাজার, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, রামপুরা বাজার, মালিবাগ বাজারসহ মোট ২০টি পয়েন্টে। এতে ক্রেতারা ন্যায্য মূল্যে সরাসরি প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ডিম পাচ্ছেন। আর এ কার্যক্রমের ফলে তারা দাবি করেন বাড়ন্ত ডিমের দাম ইতোমধ্যে কমে এসেছে বলে। আসলে ডিমের দাম কম থাকে শীতের সময় ।
বহুজাতিক কোম্পানির ডিমের বাজারের সিন্ডিকেট আমরা ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছি,বললেন ট্রাকসেল কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়ক বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার । আমাদের সহযোগিতা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তিনি দাবি করেন, এখনো বহুজাতিক কোম্পানি ও কিছু মুনাফা লোভী ব্যক্তিরা সিন্ডিকেট করে মাঝে মাঝে ডিমের বাজারে কারসাজি করছেন। তারা চাইলেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন ডিমের দাম, আবার দিচ্ছেন কমিয়ে। সরকারকে বিষয়টি নিরসনে নিতে হবে কঠোর পদক্ষেপ। প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এমন ব্যবস্থা করতে হবে যেন ।
তিনি জানান সামনে ট্রাকসেলের কার্যক্রম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। সাধারণ ক্রেতারাও ভোক্তা পর্যায়ে এমন কার্যক্রম পরিচালনা করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন । সকালে ক্রেতাদের ট্রাকসেল শুরু হওয়ার পর ডিম কিনতে দেখা যায় । ওবায়দুর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, বাংলাদেশের বাজার দর বোঝা খুবই মুশকিল। কিছুক্ষণ আগেও ভেতরে ১২ টাকা দরে ডিম বিক্রি হচ্ছিল। এখন আবার দেখি কম দামে বিক্রি হচ্ছে। সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে এরকম কার্যক্রম যদি বাড়ানো যায় সরকারিভাবে, তাহলে হয়ত সব জিনিসের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি মনে করেন বিষয়টি নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের উদ্যোগ বাড়ানো প্রয়োজন।
সম্পাদনায়: তৌহিদ হাসান