টপ নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা এমন কোনো রাষ্ট্রপতি করিনি যার নাম ইয়াজউদ্দিন, কার্যক্রমে ইয়েস উদ্দিন। এই ইয়েস ধরনের কোনো ব্যক্তিকে আমরা মনোনয়ন দেইনি রাষ্ট্রপতি পদে । আমরা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, কোনো অপশক্তিকে দিইনি মনোনয়ন।’
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন । দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার পর দলের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে তিনি এসময় ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ২০০২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপ্রতি হিসেবে প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ দায়িত্ব নেন । তিনি ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আলোচিত এক-এগারোর সময় ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি । এক-এগারোর সময় তার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা আছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরউদ্দিন আহমদ নিয়োগ পান প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে । ইয়াজউদ্দিনের পরে ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
এদিকে ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দলের পক্ষ থেকে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে নতুন রাষ্ট্রপতি হন দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে ঘোষণা করেন তার নাম ।
সম্পাদনায়ঃ পূরবী রায় ।