টপ নিউজ ডেস্ক: একজন ফ্রিল্যান্স কপিরাইটার চাই ওয়ানরু।তিনি বিয়েতে বিশ্বাস করেন না। এমনকি চীনের অনেক তরুণী স্বামী ও সন্তানহীন ভবিষ্যতের কল্পনা করেন। এতে ক্রমেই বাড়ছে এমন নারীর সংখ্যা। তিনিও এই স্রোতেরই অংশ। এই ধরণের চিন্তাধারা চীন সরকারকে একটি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সিয়ানের একটি ক্যাফেতে ২৮ বছর বয়সী নারীবাদী চাই ওয়ানরু বলেন, আপনি কর্মরত হন বা সাধারণ নারী হন, নির্বিশেষে নারীরাই সবচেয়ে বড় ত্যাগ স্বীকার করছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ওয়ানরু বলেন, অনেকে আগে বিয়ে করেছেন। কিন্তু প্রত্যাশা মতো সুখী দাম্পত্যজীবন পাননি। আজকাল ভালোভাবে বেঁচে থাকা অনেক কঠিন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০২৩ সালে বিবাহ এবং সন্তান জন্মদানের একটি নতুন সংস্কৃতি গড়ে তোলেন। টানা দ্বিতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এতে নতুন জন্মের সংখ্যা ঐতিহাসিকভাবে নিম্নে পৌঁছেছে। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এ বছরের এক প্রতিবেদনে ‘জন্মবান্ধব সমাজের দিকে কাজ করার’ ও শিশু যত্ন পরিষেবাগুলোকে বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ক্রমবর্ধমান শিক্ষিত নারী রেকর্ড বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে অভূতপূর্ব নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়ে বাধ্য হয়ে একাকিত্ব বেছে নিচ্ছেন।
সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম