টপ নিউজ ডেক্সঃ চট্টলার মাঠে নামার আগে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্ন দাবি করেছিলেন, দেশে যাই কিছু ঘটুক না কেন, খেলা চলাকালে সবাই টিভি অন করে থাকে। তারই বাস্তব প্রমাণ পাওয়া গেল যেন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
লঙ্কান দ্বীপে অস্থিরতা চললেও প্রিয় ক্রিকেট দলকে উৎসাহ জোগাতে বাংলাদেশে এসেছেন দেশটির ক্রিকেটের প্রাণপ্রিয় ভক্ত গায়ান সেনানায়েকে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় উত্তাল শ্রীলঙ্কা। দেশটির অর্থনীতি ও রাজনীতিতে চলছে চরম অস্থিরতা। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। এ নিয়ে লঙ্কানরা রাগে ও ক্ষোভে ফুঁসছে। জনগণের বিক্ষোভের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী শপথও নিয়েছেন। তবে এখনো স্বাভাবিক হয়নি দেশের পরিস্থিতি। দেওলিয়া ঘোষণা করা দেশটি এখন সবচেয়ে বেশি ভুগছে অর্থনীতিতে, অথচ ঠিক এমন সময়ে কীভাবে ডলার ব্যয় করে বাংলাদেশে আসলেন গায়ান!?
এমন এক প্রশ্নে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি ক্রিকেটের দারুণ ভক্ত। শ্রীলঙ্কা দলের খেলা দেখতে সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াই। আমি আমার স্পন্সর কোম্পানি ডিএম ব্রাদার্সকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশেষ করে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাজিব দীনতে । সে আমার ফ্লাইং টিকিট থেকে শুরু করে সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আপনারা জানেন শ্রীলঙ্কায় বিমান ভাড়া এখন কতটা উচ্চ দরে চলছে। গায়ান আরো বলেন , প্রায় ১ হাজার ডলার গুনতে হয় বাংলাদেশে আসতেই। যে কারণে আমার স্পন্সর কোম্পানিকে অশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই। আমার এক ভাই আছে ওখানে (শ্রীলঙ্কায়), সে বিয়ে করেছে, পরিবার নিয়ে থাকে। কোভিডের সময় দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার মা মারা গেছে। আমি এখন একাই, ব্যাচেলর একজন মানুষ, আমার কোনো বাধা নেই।
এদিকে টাইগারদের সঙ্গেও নাকি আছে তার সখ্যতা, বাংলাদেশকে নিজের দ্বিতীয় বাড়ি মনে করা গায়ান বলেন এ নিয়ে সাতবার আসবার। তিনি বলেন, এর আগে আমি বাংলাদেশে সাতবার এসেছি। প্রথমবার ২০০৬ সালে এসেছিলাম এই চট্টগ্রামেই ওয়ানডে ম্যাচে। বাংলাদশের মানুষ খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি। সব খেলোয়াড়কে আমি চিনি ও জানি।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি আরও বলেন,‘বাংলাদেশের আইকনিক ফ্যান শোয়েব আলি আমার বন্ধু, টাইগার মিলনও। সাবেক খেলোয়াড় খালেদ মাসুদের সঙ্গেও ভালো পরিচয়। বর্তমানে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক সবার সঙ্গে আমার সখ্যতা। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও ভালো পরিচয়।
এদিকে নিজ দেশের খারাপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের থেকে পাওয়া সাহায্যের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেও ভুল করেননি তিনি।মূলত আমাদের দেশের খারাপ অবস্থাটা শুরু হয় কোভিডের সময়। এমনিতে পরিস্থিতি অনেক দিন ধরে খারাপ, সরকারের উপর সন্তুষ্ট ছিল না জনগণ। তবে কোভিডে আমাদের পর্যটন শিল্পে বড় একটা ধাক্কা লাগে। লোকজন ভ্রমণে শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছিল না, ঠিক ওই সময়টায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত আমাদের বেশ সাহায্য করে। আর্থিকভাবে সাহায্য করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং কৃজ্ঞতা জানাতে চাই।
সম্পাদনায়ঃ শাহাদাত হোসাইন