টপ নিউজ ডেস্ক: স্বর্ণকুমারী দেবী ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম উল্লেখযোগ্য মহিলা সাহিত্যিক, কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতকার ও সমাজ সংস্কারক। তিনি ছিলেন কলকাতার জোড়সাঁকোর ঠাকুর পরিবারের দ্বারকানাথ ঠাকুরের পৌত্রী, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্থ কন্যা এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় বোন। ভ্রাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেয়ে তিনি পাঁচ বছরের বড়ো ছিলেন।জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির পুরুষ সদস্যদের মতোই সংগীত, নাটক ও সাহিত্যে সৃষ্টিশীলতা স্বর্ণকুমারী দেবীকেও স্পর্শ করেছিল।
‘বসন্ত উৎসব’ ছিল স্বর্ণকুমারী দেবীর প্রথম বাংলা গীতিনাট্য। স্বর্ণকুমারী দেবীর প্রথম উপন্যাস দীপনির্বাণ প্রকাশিত হয় ১৮৭৬ সালে। ইতিপূর্বে হানা ক্যাথরিন মুলেনস ১৮৫২ সালে তাঁর ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত প্রকাশ করে বাংলা ভাষার প্রথম ঔপন্যাসিকের মর্যাদা লাভ করলেও প্রথম বাঙালি মহিলা ঔপন্যাসিক স্বর্ণকুমারী দেবীই ছিলেন। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য রচনাবলিঃ
উপন্যাসঃ মিবার-রাজ, ছিন্নমুকুল, মালতী, হুগলীর ইমামবাড়ী, বিদ্রোহ, স্নেহলতা, কাহাকে, ফুলের মালা, সাব্বিরের দিন রাত, বিচিত্রা, স্বপ্নবাণী, মিলনরাতি।
নাটকঃ বিবাহ-উৎসব, রাজকন্যা এবং দিব্যকমল।
কাব্যগ্রন্থঃ গাথা, বসন্ত-উৎসব এবং গীতিগুচ্ছ।
বিজ্ঞান-বিষয়ক প্রবন্ধঃ পৃথিবী
১৮৫৫ সালের আজকের দিনে কোলকাতার জোড়সাঁকোর ঠাকুর পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন স্বর্ণকুমারী দেবী। আজ তার ১৬৫তম জন্মবার্ষিকী । ১৮৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর জানকীনাথ ঘোষালের সঙ্গে স্বর্ণকুমারী দেবীর বিয়ে হয়। জানকীনাথ ছিলেন নদিয়া জেলার এক জমিদার পরিবারের শিক্ষিত সন্তান এবং একজন দিব্যজ্ঞানবাদী (থিওজফিস্ট) এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তথা আদি যুগের সক্রিয় সদস্য।
এ ছাড়াও তিনি অসংখ্য গানও রচনা করেছিলেন। সহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ১৯২৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণকুমারী দেবীকে “জগত্তারিণী স্বর্ণপদক” দিয়ে সম্মানিত করে। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুলাই মৃত্যবরণ করেন বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম বাঙ্গালী মহিলা ঔপন্যাসিক, কবি, সংগীতকার ও সমাজ সংস্কারক স্বর্ণকুমারী দেবী।
সম্পাদনায়: হাবিবা সুলতানা
[…] […]