টপ নিউজ ডেস্কঃ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের প্রভাব দেশের সব সেক্টরে পড়েছে । নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে রক্ষা পায়নি আবাসন পণ্যও এর বিরূপ প্রভাব থেকে ।
সম্প্রতি গ্যাস ও বিদ্যুতের দামে অস্থিরতার ফলে রড-সিমেন্ট শিল্পে একদিকে যেমন কমেছে বিক্রি ও উৎপাদন । অন্যদিকে বহুগুণ দাম বেড়েছে। ফলে বর্তমানে প্রতি টন রডের দাম প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা বেড়েছে । এছাড়া প্রতি ব্যাগ সিমেন্টে দাম প্রায় ২০ টাকা করে বেড়েছে ।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দেশে বড় ও মাঝারি আকারের ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ৯০ লাখ টন রয়েছে । যেখানে বর্তমানে ৪০ লাখ টন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর আগে করোনা মহামারিতেও তলানিতে বিক্রি ছিল । অর্থাৎ বিক্রি নেমে ২০ থেকে ২৫ লাখ টনে এসেছে। যদিও এ খাতে বিএসআরএম, পিএইচপি ইন্টিগ্রেটেড স্টিল মিলস, কেআর স্টিল, এমএইচ স্টিল রি-রোলিং মিলস, মিলস, ইউনিটেক্স স্টিল মিলসসহ অন্যান্য উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা। তবে বিপরীতে প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে আয় করছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।
Steel-Cementএ বিষয়ে বিএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত বলেন, ‘গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ায় বড়রকম প্রভাব স্টিল মিলগুলোতে পড়েছে। কেবল বিদ্যুতে দাম বাড়ায় প্রতি টন রডে বেড়েছে প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা দাম । অর্থাৎ একদিকে উৎপাদন কমছে ও ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে কমছে বিক্রি।’
একসময় আমদানিনির্ভর ছিল দেশের ইস্পাত খাত। পরে দেশীয় উদ্যোক্তারা সক্ষমতা বাড়াতে বৈচিত্র্য এনেছেন। এর অংশ হিসেবে ইস্পাত উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে নতুন প্রযুক্তিও। সময়ের ব্যবধানে ম্যানুয়াল থেকে অটোমেটিক মিল, অটো থেকে ইলেক্ট্রনিক আর্ক ফানের্স। আর সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে কোয়ান্ট্রাম আর্ক ফার্নেস, যা ইস্পাত খাতে উৎপাদন বাড়িয়েছে জ্যামিতিক হারে এবং উৎপাদন ব্যয়ও কমেছে ।
সম্পাদনায়ঃ পূরবী রায় ।